শীতকালীন অধিবেশনের চতুর্থ দিনেও বিধানসভার ভিতরের থেকে বেশি আলোচনায় রইল তার প্রাঙ্গন। বাবুঘাট থেকে মাথায় করে গঙ্গার জল এনে আম্মেদকরের মূর্তির পাদদেশ শুদ্ধকরণ করলেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওদিকে এদিন স্পিকার জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া বিধানসভা চত্বরে কোনও কর্মসূচি আয়োজন করা যাবে না।
গত বুধবার কলকাতায় অমিত শাহের সভার পালটা বিধানসভায় আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে ধরনা দেন তৃণমূল বিধায়করা। সেই ধরনায় নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনা স্থলে ‘অমিত চোর, মোদী চোর’ স্লোগান তোলেন তৃণমূল বিধায়করা। খবর পেয়ে শাহের সভা শেষে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পালটা ‘মমতা চোর’ স্লোগান তোলেন তিনি। এরই মধ্যে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
বিজেপির দাবি, বিভিন্ন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে বসায় ওই স্থান অপবিত্র হয়ে গিয়েছে। ওই জায়গার পবিত্রতা ফেরাতে শুক্রবার বাবুঘাট থেকে মাথায় কাঁসার কলসে করে গঙ্গাজল নিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। সেই জল আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে ঢেলে চলে পবিত্রতা অভিযান। গামছা দিয়ে মূর্তির ফলক মুছতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তার পর ওই জায়গায় ফুল ছড়িয়ে দেন তাঁরা।
এর পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, চোর মমতার আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে বসার কোনও অধিকার নেই। তিনি ওই জায়গায় বসায় আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশ অপবিত্র হয়ে গিয়েছিল। আমরা সনাতন ধর্মের রীতি মেনে ওই স্থানের পবিত্রতা ফিরিয়েছি।
এই নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, ‘ধর্মকে বিধানসভার অন্দরে আনা উচিত নয়। বিধানসভা ধর্মের ঊর্ধ্বে। কাণ্ডজ্ঞান হীনরাই এই কাজ করতে পারে।’