সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্য়াচে সেঞ্চুরি করে ক্যাপ্টেন একা জিতিয়েছিলেন নেপালকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দলের ২০০-র বেশি রান তাড়া করে নেপাল ম্যাচ জেতে রোহিত পাউডেলের চওড়া ব্যাটে ভর করেই। এবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ফের ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। তবে এবার আর একক প্রচেষ্টায় ম্যাচ জেতাতে পারেননি দলকে।
রবিবার তুলনায় সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তীরে এসে তরী ডোবে নেপালের। ব্যাট হাতে ক্যাপ্টেনকে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেননি নেপালের আর কোনও ব্যাটার। না হলে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নেওয়ার সুযোগ ছিল নেপালের সামনে।
কীর্তিপুরের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৩ রান করেন আন্দ্রে ফ্লেচার। ৩৬ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি ছক্কা মারেন।
৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে গুড়াকেশ মোতি ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া রোস্টন চেস ২৩, জনসন চার্লস ১১ ও কেসি কার্টি ১০ রানের যোগদান রাখেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে। মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। তবে ক্রিজের একপ্রান্ত আঁকড়ে লড়াই চালান রোহিত পাউডেল। নেপাল শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রানে আটকে যায়। ১০ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দল।
রোহিত ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নট-আউট থাকেন ব্যক্তিগত ৭১ রানে। ৪৮ বলের মারকাটারি ইনিংসে রোহিত ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোহিত পাউডেল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ১১২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। নেপাল সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দলের ৫ উইকেটে ২০৪ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ২০৬ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয়।