ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে হাত ছোঁয়াতে পারছেন না সাধারণ মধ্য়বিত্ত। এর উপর পেট্রল ডিজেলের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। পাম্পে তেল ভরতে গিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রাজ্য সরকার কেন পেট্রল, ডিজেলের উপর থেকে ভ্যাট কমাচ্ছে না? এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতেন সাধারণ মানুষ। এবার সাধারণ মানুষের এই প্রশ্নটাই পুরভোটের বাজারে সামনে আনতে চাইছে বিজেপি। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুতের অত্যাধিক মাশুল।
এবার কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটে ও পরবর্তী সময় বিভিন্ন জেলার পুরভোটে এই দুটি ইস্যুকে সামনে আনতে চাইছে বিজেপি। মূলত সাধারণ মানুষ রোজকার যে সমস্যায় ভুগছেন সেটাকেই ইস্যু করে শাসকদলকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে বিজেপির আক্রমণের জবাব তৃণমূল কীভাবে দেয় সেটাই এখন দেখতে চাইছেন বাংলার মানুষ।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে এত জ্বলন্ত ইস্যু নিয়েও কেন বাংলা জুড়ে সেভাবে আন্দোলনে নামছে না বিজেপি? তবে কি বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে আরও নডবড়ে হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির? তার জেরেই কি বর্তমান পরিস্থিতিতে আর আন্দোলনে নামতেই ভরসা পাচ্ছে না বিজেপি? সেক্ষেত্রে শুধু ভোটের বাজারে এই ধরনের ইস্যু বিজেপিকে কতটা মাইলেজ দেবে সেই প্রশ্নটাও থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে বাসিন্দাদের একাংশের মতে, এবারের পুরভোটে প্রার্থী বাছাই ও দলত্যাগীদের নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। তবে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে দলত্যাগীদের নিয়ে আর বিশেষ কিছু ভাবতে চাইছেন না তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, যাঁরা চলে গিয়েছেন বাংলায় বিজেপির উত্থানের সময় ও গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফলের সময় তাদের কোনও অবদান নেই।