দুটি বিল পাশ করাতে সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে রাজ্য সরকার। এই দুটি বিলের মধ্যে একটি বিধায়ক এবং অন্যটি মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর বিল। বিজেপি আগেই জানিয়েছিল তারা এই অধিবেশনে থাকবে না। কিন্তু শেষবেলায় সিদ্ধান্ত বদল করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁরা সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের হাজির থাকবেন।
রবিবার এই অধিবেশন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, 'আমরা কাল সকাল ১১টায় সবাইকে ডেকেছি। আমরা ভিতরে ঢুকব। জোরালো ভাবে বিলের বিরোধিতা করব।'
প্রসঙ্গত, ওইদিন কলকাতায় অমিত শাহ আসছেন। এর আগে বিধানসভা সচিবালয় থেকে তাঁদের এই বিলের বিষয় এবং বিশেষ অধিবেশন নিয়ে জানানো হয়। তখন শুভেন্দু জানান, তাঁদের পক্ষে এই অধিবেশনের থাকা সম্ভব নয়। তিনি বলেন,'আমাদের বিধায়করা সকলে পুজোয় ব্যস্ত থাকবেন। তাছাড়া ও বিল নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। ওরা আনছে ওরা ওদের মতো পাশ করাবে।'
তবে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করে অধিবেশনে থাকার সিদ্ধান্ত কেন? দলের বিধায়কদের একাংশ চাইছেন, বিলগুলি নিয়ে নিজেদের বিরোধিতা লিপিবদ্ধ রাখতে। সে কারণে তাঁরা শেষ মুহূর্তে অধিবশেন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনগণকে বার্তা দিতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত।
(পড়তে পারেন। ‘এমন চললে লোকসভায় পাঁচটি সিট পাওয়াও চাপ হবে’, নাম না করে সুকান্তকে বিঁধলেন অনুপম)
(পড়তে পারেন। ‘শুধু রিভিশন করলেই আমার হয়ে যাবে’, ফেসবুক পোস্টে চমক দিয়ে অকপট দিলীপ)
অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশনে হাজির থাকতে পারবেন না। এর পর বিরোধী দল না থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নির্বিঘ্নে বিল পাশ হয়ে যেত। তবে বিজেপি অধিবেশনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোয় তেমনটা আর হচ্ছে না। বিল আলোচনার সময় উতপ্ত হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান মন্ত্রী থেকে বিধায়ক— সব স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করছে সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না বলেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'বিধায়কের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না।' এই বিল পাশ করানোর জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলে তাতে অংশ না নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করে অধিবেশনে অংশ নিয়ে নিজেদের বিরোধিতা লিপিবদ্ধ করবে বিজেপি।