সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে আসছেন। কলকাতায় এসে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করবেন। আর মহাষষ্ঠীর দিন রাজ্যে আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার। এই পরিস্থিতিতে সাংসদ দিলীপ ঘোষ আছেন খড়গপুরে। তিনি অমিত শাহের উপস্থিতিতে কলকাতায় দিলীপ থাকবেন কিনা সেটা নিশ্চিত করে কেউ বলেননি। তবে আজ, রবিবার দেবীপক্ষের সূচনার পরদিন বড় চমক দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ এবার নিজের নামকে মিশিয়ে দিলেন নিজের লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে। রবিবার দিনই তাঁর ফেসবুক এবং এক্স হ্যান্ডলে রয়েছে নয়া চমক। ইংরেজিতে মেদিনীপুর বানানকে একটু এদিক–ওদিক করে দিয়েই রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে দেবী দুর্গা ও দিলীপ ঘোষের ছবি।
হঠাৎ এমন চমক কেন? বরাবরই তিনি একটু ব্যতিক্রমে। কথাবার্তা থেকে কাজকর্মে তাই তিনি ব্যতিক্রমী চরিত্র। তবে এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘এটা আমার পুজো। আমি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় জন্মেছি। আমি কখনও রাজনীতি করব ভাবিনি। কিন্তু সম্ভবত ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল, তাই আজ আমার কর্মভূমিও মেদিনীপুর। আমি লক্ষ্য করলাম, আমার নামটাও সামান্য বদলে লুকিয়ে রয়েছে আমার মেদিনীপুর আসনের মধ্যে। দেবীপক্ষে আমি সেটাকেই সামনে আনলাম। আমি মেদিনীপুরের সঙ্গে মিশে থাকি। সেটা কাজের মধ্যে দিয়ে। এবার নামের মধ্যে দিয়েও মিশলাম। নিজেকে আগেই দেশের ও সমাজের জন্য উৎসর্গ করেছি। তারই অঙ্গ মেদিনীপুরের জন্যও নিজেকে উৎসর্গ করেছি।’
কেন এমন মেদিঈপুর প্রীতি দিলীপের? খড়গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোপীবল্লভপুরের সান অফ দ্য সয়েল। কুলিয়ানা গ্রামে জন্ম। আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বয়ংসেবক থেকে প্রচারক জীবন। পরে বিজেপিতে আসেন। আর দলের রাজ্য সভাপতি হন। এই জেলারই খড়্গপুর সদর আসন থেকে বিধানসভায় যান। পরে এই আসন ছেড়ে দিয়ে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জেতেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি হন। তবে এখন শুধু মেদিনীপুরের সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি কি শুরু করে দিলেন দিলীপ? দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘আমি এমন ছাত্র নই, যারা পরীক্ষা এলে পড়াশোনা করে। গত সাড়ে চার বছর ধরে মেদিনীপুরই আমার ধ্যানজ্ঞান। নিজের এলাকায় সময় দিয়েছি। আমার সামর্থ্যে যা যা সম্ভব ছিল, সবই করেছি। এখন পরীক্ষার আগে শুধু রিভিশন করলেই আমার হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: সুইডেনে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দুর্গাপুরের গবেষক ছাত্রীর দেহ, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার এক
আর কী বলছেন বিজেপি সাংসদ? দিলীপ ঘোষ জানান যে, দেবীপক্ষ জুড়েই এমন চমক থাকবে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বিষয়ে দিলীপ বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। সব দেখতে পাবেন। আপনি যেটাকে চমক বলছেন, আমার কাছে সেটা আসলে পুজো। মানুষের উদ্দেশে নবরাত্রির পবিত্র দিনগুলিতে শ্রদ্ধা প্রকাশ। আর জয় হচ্ছে পুরস্কার। আমি কাজ করে থাকলে তার পুরস্কার পেয়েই যাব। চাইতে হবে না। অসুর বিনাশ করে জয়ের জন্যই তাঁকে আমরা পুজো করি। তাঁর হাতের অস্ত্রশস্ত্র জয়ের কথাই বলে।’