মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি ত্রিপুরায় পা রাখলে সেখানে ভূমিকম্প হবে। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবসে এমনই দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এহেন চ্যালেঞ্জকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'কোভিডেরে জেরে মানুষ এমনিতেই কষ্টে রয়েছেন। ভূমিকম্প হলে ত্রিপুরাবাসীর জন্য ভয় হচ্ছে।' এরপর তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল ত্রিপুরায় সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে। জয়ের স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে ত্রিপুরায় আগে খাতা খুলে দেখাক তৃণমূল।'
এদিকে কয়লা দুর্নীতি নিয়ে অভিষেক-রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করায় মমতা সুর চড়িয়েছিলেন। এই বিষয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'ইডি-সিবিআই তদন্ত করলেই তৃণমূল বলে প্রতিহিংসার রাজনীতি।' এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই-এর বিরোধিতা করায় তৃণমূলের উদ্দেশে শমীকবাবু বলেন, 'আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের বিষয়ে কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সিবিআইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে বিজেপি। যদি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সম্পর্কে কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতকে সেটা জানাক তৃণমূল।'
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ত্রিপুরায় মিছিল করে ঘাসফুল শিবির। মিছিলের পরই বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠতে থাকে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীকে মারধর এবং সেই কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভাঙচুরের খবর পেয়েই এলাকায় যান শান্তনু সেন আর কুণাল ঘোষ। অভিযোগ, বাঁধারঘাটে মুজিবর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।