২০১৪ সালের প্রাথমিকে পাশ করেও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি। সেই প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল ৪ জন প্রার্থী। সেক্ষেত্রে মামলাকারী সেই ৪ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:বেআইনি নিয়োগ বাতিল হবে এবার, প্রাথমিক মামলায় জানালেন বিচারপতি, চুরির চাকরির দিন শেষ!
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ৪ প্রার্থী ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ওই ৪ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এরপরে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন ভুল মামলায় ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে দেখা যায় ওই ৪!জন পাশ করেন। কিন্তু, প্রার্থীদের অভিযোগ, তারা পাশ করার পরেও ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪ জন। তাদের মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীদের আইনজীবীদের বক্তব্য, এক্ষেত্রে ভুল প্রশ্নের জন্য তারা আগে পাশ করলে সে ক্ষেত্রে তাদের চাকরি হয়ে যেত। কারণ সেই সময় ৪৯ হাজার শূন্য পদের মধ্যে ১১ হাজার প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। আর ওই ৪ জনেই প্রশিক্ষিত। আইনজীবীদের বক্তব্য, টেট পাশ করা প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়ার যোগ্য। তাই অবিলম্বে তাদের ইন্টারভিউ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের ফল প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে। তবে ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকায় মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করে আদালত। এরপর কমিটি রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রশ্ন ভুল ছিল। তার ভিত্তিতে মামলাকারীদের ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। পরে বেশ কিছু প্রার্থী বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সেই সময় মামলা উঠেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। তাদের দাবি ছিল, শুধুমাত্র মামলাকারীরা কেন নম্বর পাবে? সেক্ষেত্রে যারা পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের সকলকে নম্বর দিতে হবে। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ১৩ এপ্রিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৬টি ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দিতেই হবে।