সম্প্রতি সন্দেশখালিতে কর্মরত শিখ আইপিএস অফিসারকে ‘খালিস্তানি’ মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিরোধী দলীনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবার খালিস্তানি মন্তব্য বিতর্কে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চাইল রাজ্য সরকার। এই অনুমতি চেয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: 'মূর্খের কথায় বিচলিত হওয়া ঠিক নয়', 'খলিস্তানি' বিতর্কে বিস্ফোরক BJP-র শিখ সাংসদ
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে রাজ্যের আবেদন ছিল, তারা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চায়। তখন বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান যেহেতু শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ সহ একগুচ্ছ মামলার শুনানি করছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে তিনি রাজ্যকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপরে রাজ্য সরকারের তরফে প্রধান বিচারপতির কাছে এফআইআর করতে আবেদন জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও বেঞ্চে মামলার শুনানির জন্য আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের বক্তব্য, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের মামলা শোনার এক্তিয়ার রয়েছে। তবে তিনি এই মুহূর্তে সার্কিট বেঞ্চে আন্দামানে রয়েছেন। তাই যাতে অন্য কোনও বেঞ্চে মামলার শুনানি করা যায় সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বক্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতগ্রাহ্য অপরাধ রয়েছে। তবে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাচ্ছে না। তাই এর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে আবেদন করার অনুমতি দেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তই এই মামলার শুনানি করবেন। প্রয়োজনে অনলাইনে শুনানি করা যাবে। আগামীকাল এই মামলা শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। কিন্তু, শিশু আদালত পরে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকেই মান্যতা দেয়। তাই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার জন্য অনুমতি চায়ছে রাজ্য সরকার।