লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের ঘাড়ে তত যেন ভূতের মতো চেপে বসছে দুর্নীতির অভিযোগ। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ পেয়েছিল সিবিআই ইডি। এবার মুর্শিদাবাদের গোঠা হাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে GTAতে শিক্ষক নিয়োগ ব্যাপক দুর্নীতির সন্ধান পেল তারা। আর তাতে নাম জড়াল জেলবন্দি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ৩ জন যুব তৃণমূল নেতার। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁদের মধ্যে ২ জন।
অভিযোগ, এক জিটিএ কর্তার সঙ্গে যোগসাজস করে জিটিএতে ৩১৩ জনকে বেআইনিভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ করেছেন ৫ তৃণমূল নেতা। অভিযোগ উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সহ সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী ও হাবরা পুরসভার জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বুবাই বোস ও আরও এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
আদালতে ইডি জানিয়েছে, গোঠা হাইস্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে একটি চিঠি তাদের হাতে আসে। সেই চিঠি থেকে তাঁরা জিটিএতে নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানতে পারেন। চিঠিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী ও এক জিটিএ কর্তার ফোন নম্বর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কথোপকথন থেকে জানা যায়, জিটিএতে ৩১৩টি পদে তৃণমূল নেতাদের সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। এই দুর্নীতিতে তৃণাঙ্কুর ও বুবাই বসুও যুক্ত বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি। ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডিকে এই ঘটনার তদন্তভার দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিআইডিকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছেন তৃণাঙ্কুর। প্রান্তিক বলেন, আমি তখন অত বড় নেতাই ছিলাম না। তবে তদন্তে সব রকম সাহায্য করব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘তাই নাকি! ব্যাপারটা জানা নেই। জেনে বলতে পারব।’