গত ৯ জানুয়ারি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় আইনজীবীদের। এদিকে সেই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়েছে এই বিক্ষোভের পেছনে মূল পাণ্ডা কে ছিলেন সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে আদালত।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম জানিয়েছেন, যে আইনজীবীরা সেদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তারা সামনে আসুন। তারা হলফনামা জমা দিন। তিনি বলেন, সামনে আসুন আপনারা, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হলফনামা জমা দিন। আমরা তাঁদের প্রতি অন্য মনোভাব নেব। আমরা বার আর বেঞ্চের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব চাই না।
বিচারপতি আইপি মুখার্জি, বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসও এনিয়ে মন্তব্য করেছেন।
আদালত জানিয়েছে, এই প্রতিবাদের মাস্টারমাইন্ড কারা সেটা আমরা জানতে চাইছি। তিনি পুরুষ অথবা মহিলা যেই হোন না কেন, তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি বা আরও শক্তিশালী হোন না কেন আমরা শুধু তার উপর হাতটা দিতে চাইছি। যে আইনজীবীরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন তারা সামনে আসুন। তারা হলফনামা জমা দিন। কী করা যায় সেটা আমরা দেখছি।
এদিকে ৯জন আইনজীবী এদিন তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন ও ক্ষমা চেয়েছেন। বেঞ্চ জানিয়েছে পরবর্তী শুনানিতে তাদের বিষয়টি দেখা হবে। আরও আইনজীবী ক্ষমা চাইতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ও বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি আলাদা করে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ভিডিয়ো ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে সেই আইনজীবীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনারও আলাদা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টে এক আইনজীবীর বয়ান ছিল যিনি সেদিন প্রতিবাদস্থলে ছিলেন। তবে আদালত জানিয়েছিল ওই আইনজীবীর বয়ান কি রেকর্ড করা হয়েছিল?
আগামী ১৫ মে পর্যন্ত এই শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতির এজলাসের সামনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। তারা নিজেকে তৃণমূল প্রভাবিত আইনজীবী বলে দাবি করেছিলেন। তারা অভিযোগ করেছিলেন, বিচারপতি রাজ্য সরকারের প্রতি শত্রু মনোভাবাপন্ন ও শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিচ্ছেন।