এবার শিক্ষামিত্রদের আন্দোলন পেল বড় জয়। এদিন এক রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে যাঁরা কাজ করার পরও টাকা পাননি, তাঁদের দিতে হবে বকেয়া টাকা ও তার সঙ্গে তাঁরা কাজেও ফিরতে পারবেন। কাজে বহাল করার ক্ষেত্রে কোর্ট জানিয়েছে, ষাট বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষামিত্ররা কাজ করতে পারবেন।
কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার এক বড় রায়ে জানিয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষামিত্ররা কাজ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যদি আগের স্কুলে কাজে যোগ দিতে নাও পারেন, তাহলে তাঁদের অন্যত্র কাজে বহাল করার কথা জানিয়েছে কোর্ট। এদিন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি এদিন রায়দানের সময় বলেন, সংবিধানে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্জেহে শিক্ষাবন্ধুরা সেই কাজই করেন। তাঁদের কাজ বেআইনি একথা বলা যায় না। তাঁদের জীবন জীবিকা এর উপর নির্ভরশীল।’ তিনি সাফ ভাষায় জানান, ‘তাঁদের (শিক্ষামিত্রদের) কাজ থেকে বাতিল করার আগে রাজ্যকে জানাতে হবে যে কোন আইনের ভিত্তিতে তাঁদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’ আদালত বলছে, যাঁদের চাকরি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁদের চাকরি আগেভাগে কেড়ে নেওয়া ভারতের মতো কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিমূলক।
( হোটেলের রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন প্রিয়াঙ্কা, শুরু হল দোসা বানানো, হাতে নিলেন খুন্তি!)
( দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা পাশ ২ প্রাক্তন বিধায়কের! পঞ্চাশোর্ধ্ব নেতাদের লক্ষ্য কী?)
প্রসঙ্গত, শিক্ষামিত্র পদটি বাম আমলে তৈরি। ২০০৪ সাল থেকে এই পদে নিয়োজিতদের উপর স্কুল ছুট কিম্বা পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর দায়িত্ব ছিল। পরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে এসে সেই পদটি তুলে দেয়। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ হয় শিক্ষামিত্রদের ভাতা। তাঁরা প্রতি মাসে ২৪০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। এইভাবে তাঁদের কাজ থেকে সরানো নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন শিক্ষামিত্ররা। ২০১৯ সাল থেকে তাঁদের টানা প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এল বড়সড় স্বস্তি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup