উপাচার্যের অভাবে ফস্কে যাচ্ছে DRDO-র চাকরি, রাজ্যপালের দ্বারস্থ তরুণ

ওই প্রার্থী নাম সায়ন কর্মকার। তিনি চুঁচুড়া দক্ষিণায়নের বাসিন্দা। তিনি চন্দননগরের কানাইলাল স্কুল থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করেন। এরপর টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেন। পরে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন কলেজ থেকে ফটোগ্রাফি এন্ড ভিডিয়ো প্রোডাকশনের ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স করেন।

 রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

কেন্দ্র সরকারের ডিআরডিওতে পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও চাকরি পাচ্ছেন না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকায় তিনি সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। আর সেই কারণে তাঁর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হচ্ছে না। ফলে তিনি চাকরি পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। রাজ্যপাল যাতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করেন সে বিষয়ে ওই চাকরি প্রার্থী আবেদন জানিয়েছেন। 

জানা গিয়েছে, ওই প্রার্থী নাম সায়ন কর্মকার। তিনি চুঁচুড়া দক্ষিণায়নের বাসিন্দা। তিনি চন্দননগরের কানাইলাল স্কুল থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করেন। এরপর টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেন। পরে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন কলেজ থেকে ফটোগ্রাফি এন্ড ভিডিয়ো প্রোডাকশনের ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স করেন। এরপর ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা কোর্স করেন। ডিআরডিওতে টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার টেকনিশিয়ান পদের জন্য তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। লিখিত পরীক্ষাতে পাশ করেন এরপর এপ্রিল  মাসে ইন্টারভিউ দেন। মে মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় তাতে জানা যায় তিনি সফল হন। কিন্তু এরপর তাঁকে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। এর পরেই ঘটে বিপত্তি। তিনি ডিপ্লোমার শংসাপত্র কিছুতেই জোগাড় করতে পারেননি। কারণ এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপাচার্য নেই। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে হাতে লেখা একটি শংসাপত্র দেন। কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে আরও একটি ছাপা শংসাপত্র দেন। কিন্তু, তাতে উপাচার্যের সই ছিল না। ফলে সেটিও গ্রহণ করেনি ডিআরডিও।

এই অবস্থায় চাকরি হাতছাড়া হতে চলেছে ওই প্রার্থীর। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্যপালের কাছে দ্বারস্থ হন ওই যুবক। যদিও রাজ্যপালের সঙ্গে তার দেখা হয়নি। তবে তাঁর অফিসে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আবেদনে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। যুবকের পরিবারের আক্ষেপ, তাদের ছেলে ভালো চাকরি পেয়েও তাদের যোগ দিতে পারছেন না। শুধুমাত্র উপাচার্য না থাকার জন্য এই সমস্যা হচ্ছে। যুবকের মাও ছেলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। যুবকের বক্তব্য, তিনি ২০১৯ সালে পাশ করেছেন। মার্চ মাসে ফরোয়ার্ড লেটার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তিন মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় তিনি সমস্যায় পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পর ডেটা আপডেট হয়েছে। ফলে তার তথ্য অনলাইনে পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় যাতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করা হয় সেই আর্জি জানিয়েছেন যুবক।