ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের প্রভাব রাজ্যের দক্ষিণ অঞ্চলে বেশ ভালো ভাবেই পড়েছিল। আমফানের মতো অত প্রাণহানী না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তর। মারা গিয়েছে অনেক গবাদি পশু। মৃত সেই পশুদের নিয়েই সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হতে পারে যে ঘূর্ণিঝড়ে মারা যাওয়া পশুর মাংস বিক্রি করা হবে রেস্তোরাঁগুলিতে।
সোমবার নবান্নে একাধিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে ২৪ জনের বিশেষ কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এদিকে সোমবার গোসাবার ইয়াস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। প্রথমে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা যান পাথরপ্রতিমায়। তারপর সেখান থেকে আসেন গোসাবায়। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের হেলিকপ্টার গোসাবার কিষাণ মান্ডি ভবনের মাঠে এসে নামে।
ঘূর্ণিঝড় যশ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। কোটালের জেরে এলাকার একাধিক নদীতে জলস্ফীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। গোসাবার একাধিক অস্থায়ী নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছে নোনা জল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যশের পর প্রায় দু’সপ্তাহ কাটতে চললেও এখনও গোসাবার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে রয়েছে নোনা জলে। এরই মধ্যে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে পানীয় জলের সঙ্কট। কয়েক হাজার পরিবার তাঁদের মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছে।