বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পালিয়েছে গরুপাচারে হাত পাকানো এনামুলের ৩ ভাগ্নে

দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পালিয়েছে গরুপাচারে হাত পাকানো এনামুলের ৩ ভাগ্নে

অভিযুক্ত তিন ভাই। 

তদন্তে নেমে তিন ভাইকে একাধিকবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তারা হাজিরা দেননি। এর পর তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়। অভিয়োগ, লুক আউট নোটিশ থাকা সত্বেও তিন ভাই দুবাই পালিয়ে যান।

গরুপাচারকাণ্ডে ইডির পেশ করা চার্জশিটে উঠে এসেছে এনামুলের ৩ ভাগ্নে জাহাঙ্গির, হুমায়ুন ও মেহেদি হাসানের নাম। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ইডি বা সিবিআই কেন এখনো কোনও পদক্ষেপ করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তাঁদের নাম সিবিআইয়ের চার্জশিটে নেই উঠছে সেই প্রশ্নও। আর সব থেকে বড় কথা, লুক আউট নোটি থাকলেও কী ভাবে তারা দুবাইয়ে পালালেন তা নিয়ে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যেই।

গরুপাচারকাণ্ডে এনামুলের তিন ভাগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। মুর্শিদাবাদের ওমরপুরে পাচারের আগে গরু মজুত রাখা থেকে শুরু গরুকে রাখাল দিয়ে সীমান্ত পার করার দায়িত্ব ছিল তাদের ওপরেই। এভাবে কয়েক বছরেই বিপুল টাকার মালিক হয়ে ওঠেন তাঁরা। এমনকী এনামুলের থেকেও তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যায়।

তদন্তে নেমে তিন ভাইকে একাধিকবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তারা হাজিরা দেননি। এর পর তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়। অভিয়োগ, লুক আউট নোটিশ থাকা সত্বেও তিন ভাই দুবাই পালিয়ে যান। কাদের মদতে তারা লুক আউট নোটিশ থাকা সত্বেও দেশ ছাড়তে পারলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির আগে সিআইডি তিন ভাইয়ের একাধির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু ইডি বা সিবিআইয়ের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। যদিও এদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে বিরোধিতা করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, পাচারের টাকার বখরা নিয়ে মা ও ভাগ্নেদের মধ্যে বর্তমানে তুমুল বিবাদ চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাদের নিয়ে কেন তেমন উৎসাহ নেই ইডি সিবিআইয়ের?

 

বন্ধ করুন