রাজ্যে এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি–সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, পুরসভা দুর্নীতি–সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই আবহে আবার কলকাতার সিবিআই অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ডিআইজি বদল হয়ে গেল। কলকাতা অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের সিবিআই ডিআইজি ছিলেন এ. জয়দেবান। এবার তাঁকে বদলি করা হল। তাঁকে এবার নয়াদিল্লিতে সিবিআই ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হয়েছে বলে খবর। পরিবর্তে সিবিআই কলকাতা অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের নতুন ডিআইজি হলেন পিকে সিং।
এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৮ ব্যাচের অফিসার পিকে সিং। এবার কলকাতার ডিআইজি পদে যোগ দেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে সিবিআই এতদিন যেসব মামলার তদন্ত করছিল সেটা তিনিই দেখবেন। তাহলে কি নতুন মোড় নেবে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সিবিআইয়ের তরফ থেকে কেউ দেয়নি। এ. জয়দেবন ডিআইজি সিবিআই (এসিবি) থাকাকালীন এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় ভট্টাচাৰ্য,তাপস মণ্ডল–সহ একডজন আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার তার মাত্রা বাড়ে কিনা সেটাই দেখার।
অন্যদিকে সিবিআই উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারছে না বলে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনা শুনছে। সেসব দিকও দেখবেন নতুন ডিআইজি পিকে সিং। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচাৰ্য, কুন্তল ঘোষ–সহ একাধিক ব্যক্তিকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করে। কিন্তু তারপর বিষয়টি থমকে রয়েছে। সিবিআই নানা মামলায় তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। যার জন্যই একবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘ভোগাস’ বলেছিলেন। তবে পুরসভা দুর্নীতিতে ববি হাকিমের বাড়ি, মদন মিত্রের বাড়ি–সহ শহরের নানা জায়গায় তল্লাশি করে সিবিআই। কয়লা পাচার বা গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। যদিও তাতে খুশি নয় আদালত।
আরও পড়ুন: ‘আইএসএফ সেটিং করে লড়াই করে না’, বিধানসভার বাইরে স্তুতি করলেন শুভেন্দু
আর কী জানা যাচ্ছে? এ. জয়দেবনের আগে রাজীব মিশ্র ওই একই পদে ছিলেন। তাঁর আগে অসম ক্যাডারের অফিসার ডিআইজি সিবিআই (এসিবি) ছিলেন অখিলেশ কুমার সিং। অখিলেশ কুমার সিং ডিআইজি থাকার সময়ে নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয় চারজনকে— ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপরে কলকাতায় সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে দায়িত্ব নেন অখিলেশ কুমার সিং। তাঁর আমলেই বগটুই হত্যা , হাঁসখালি ধর্ষণ–খুন, ঝালদা হত্যা এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করেছে সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। এখন দেখার বিষয় কোন পথে তদন্ত এগোয়।