বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Haimanti Ganguly: মাঝরাতে চাঁচলের হোটেলে কি হৈমন্তী?‌ সিবিআই জারি করল লুকআউট নোটিশ

Haimanti Ganguly: মাঝরাতে চাঁচলের হোটেলে কি হৈমন্তী?‌ সিবিআই জারি করল লুকআউট নোটিশ

হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজাখুজি করে হৈমন্তীর বিষয়ে বড় কোনও তথ্য মেলেনি। হৈমন্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে যাতে কেউ মেসেঞ্জারে কিছু লিখে পাঠাতে না পারে তার ব্যবস্থা করেছে হৈমন্তী। ফলে সিবিআই অফিসাররা নাগাল করতে পারছে না। আর তিনি হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি পরিবর্তন করেছেন।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁকে নিয়ে নানা তথ্য সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে রহস্যের উন্মোচন করতে হৈমন্তীকে খুঁজছে সিবিআই। তাঁর গতিবিধি জানতে নজরদারির জাল ছড়াচ্ছেন গোয়েন্দারা। আর তার মধ্যেই মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর হৈমন্তীকে নিয়ে দাবি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তাঁর দাবি, সোমবার মাঝরাতে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় মালদার চাঁচলে একটি হোটেলে আত্মগোপন করেছিলেন। রাত কাটিয়ে সকালেই তিনি অন্যত্র চলে যান। তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়ক তাঁকে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এমনকী তাঁকে বিহারে বা নেপালে পালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ওই বিধায়ক।

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। সেখানে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম সামনে নিয়ে এসেছেন সিবিআই হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষ। তার উপর বিজেপি সাংসদের এমন মন্তব্যে রাজ্য–রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে। সিবিআই অফিসাররাও এই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সিবিআই অফিসাররা মনে করছেন, দেশ ছাড়তে পারেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর ছবি–সহ প্রামাণ্য নথি বিভিন্ন বিমানবন্দরে পাঠিয়ে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। যার অর্থ, কোনও বিমানবন্দরে তাঁকে দেখামাত্রই আটক করা হবে।

তাহলে সিবিআই কি প্রভাবিত হচ্ছে সাংসদের মন্তব্যে?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ খগেনবাবুর মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি আকচাআকচি। এই বিষয়ে চাঁচলের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‌কোন তৃণমূল বিধায়ক হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছেন, তা বিজেপি সাংসদকে স্পষ্ট করতে হবে। তারপর দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। চাঁচলের কোন লজ–হোটেলে কখন কে আসছে–যাচ্ছে, তা দেখা বিধায়কের কাজ নয়। সম্ভবত খগেনবাবুর অন্য কোনও কাজ নেই। তাই তিনি এসব দেখে বেড়াচ্ছেন। এসব না করে তিনি সরাসরি থানায় অভিযোগ করতে তো পারেন।’‌

সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে?‌ সিবিআই সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজাখুজি করে হৈমন্তীর বিষয়ে বড় কোনও তথ্য মেলেনি। তাদের ধারণা, প্রাক্তন স্বামী গোপাল দলপতির সঙ্গে হৈমন্তী গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। হৈমন্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে যাতে কেউ মেসেঞ্জারে কিছু লিখে পাঠাতে না পারে তার ব্যবস্থা করেছে হৈমন্তী। ফলে সিবিআই অফিসাররা নাগাল করতে পারছে না। আর তিনি হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি পরিবর্তন করেছেন। তাতে আরও সন্দেহ বাড়ছে। যদিও গোপাল দলপতি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌হৈমন্তী খুব শীঘ্রই সামনে আসবে। আর সব প্রশ্নের জবাব দেবে।’‌

বন্ধ করুন