রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে কথা বলেননি ভারতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার। এমনই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে পড়া বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেই সাক্ষাতের পরে অভিষেক দাবি করেন, জলপাইগুড়িতে নতুন করে বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দিতে চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবার দুপুরেই কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সেই কাজটা করা যাবে না। অনুমতি দেয়নি কমিশন। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল যখন ভারতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন করেন, তখন তিনি কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন অভিষেক।
তাঁর কথায়, ‘উনি (রাজ্যপাল) আজ আমায় বললেন, যিনি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আছেন, সেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে উনি কথা বলতে চেয়েছিলেন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে উনি কথা বলতে পারেননি। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কেন কথা বলেননি, তা আমি জানি না। হয়ত বাংলার রাজ্যপাল ফোন করছেন বলে, বাংলার দাবি তুলছেন বলে। আমি জানি না। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলছেন না মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।’
অভিষেক দাবি করেন, এভাবেই বিজেপি সরকার চালায়। তাই তো ক্ষমতাবলে ‘নীচে থাকা’ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘রাজ্যপালের থেকে তো অনেক নীচে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এটাই তো বিজেপির নতুন ভারত। সংবিধানকে এরা কোনও মান্যতা দেয় না।’ সেইসঙ্গে অভিষেক বলেন, 'বাকি দু'জন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ওঁনার কথা হয়েছে এবং প্রতিটি বিষয় নিয়ে উনি অনুরোধ করেছেন।'
সেইসঙ্গে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে অভিষেক দাবি করেন, দু'দিন আগেই বিহু উৎসবের জন্য বিজেপি-শাসিত অসম সরকারকে অনুদান প্রদানের অনুমতি দিয়েছে কমিশন। সেইমতো অসমের রাজ্যের ২,০০০টি কমিটিকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। উৎসবের ক্ষেত্রে কমিশন টাকা প্রদানের অনুমতি দিতে পারছে। কিন্তু জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়া মানুষদের কষ্ট লাঘব করার জন্য রাজ্য সরকার যে টাকা ব্যবহার করবে, সেটা বরাদ্দ করার অনুমতি কমিশন দিতে পারছে না বলে উষ্মাপ্রকাশ করেন অভিষেক। তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন যে উৎসবের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। আপত্তি হল যে কেন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিচ্ছে না কমিশন।