সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নতুন করে ভাবছে রাজ্য সরকার। তাঁদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে এবার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতিগত সম্মতি রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে নবান্ন। সুতরাং এই সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্যের বহু বেকার যুবক–যুবতী কর্মসংস্থান হবে। রাজ্য পুলিশের একটি সূত্রে এই খবর মিলেছে।
কেন এমন ভাবনা রাজ্যের? পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি একাধিক থানার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। অথচ কর্মী সংখ্যা সেই তুলনায় বাড়েনি। এমনকী কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে ভাঙড়। সব মিলিয়ে কলকাতা পুলিশের থানার সংখ্যা এখন ৮০ থেকে বেড়ে ৮৮ হতে চলেছে। সেখানে এসআই, সার্জেন্টের সংখ্যা বেড়েছে। এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও নিয়োগ করতে হবে। তাই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গোটা রাজ্যে নতুন করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ হতে পারে বলে খবর।
ঠিক কী দাবি উঠেছে? সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে অনেকদিন ধরেই সক্রিয় পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ড। এখান থেকেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে লিখিত দাবি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তখনই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথা ভাবে বলে সূত্রের খবর। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পুলিশের সাহায্যকারী হিসাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়। এখন কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়’, সংঘাতের পথে রাজ্যপাল
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটি পান অসুস্থ হলে। নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম, দুর্ঘটনা বিমা, পরিচয়পত্র আছে। এগুলি হয়েছে ওয়েলফেয়ার বোর্ডের দৌলতে। এখন কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য ১০ শতাংশ ‘কোটা’ রয়েছে। কোনও সিভিকের মৃত্যু হলে বা দুর্ঘটনার জেরে কর্মক্ষমতা হারালে পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এইসব সিদ্ধান্তে সিভিক ভলান্টিয়াদের সামাজিক সুরক্ষা অনেকটা বোড়েছে। এবার নিয়োগের ক্ষেত্রেও মিলবে বাড়তি সুবিধা। এই বয়স সীমা বাড়িয়ে দিলে বহু যুবক–যুবতী প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে কাজ করতে পারবে। তাতে একদিকে কর্মসংস্থান অন্যদিকে নিরাপত্তা বাড়বে মানুষের।