আজ, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস। আর এই শিশু দিবসের মঞ্চ থেকেই নতুন প্রজন্মকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এখন বিরোধীরা চরম সমালোচনায় মেতে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করছেন বিরোধী দলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে শিশু দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে নতুন প্রজন্মকে সৎ পরামর্শ দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একশ্রেণির লোক রয়েছে খালি সমালোচনা করে যায়। সারাক্ষণ নেতি নেতি করে চলেছে। আপনারা জানেন তো আমাদের ব্রেন তথা মস্তিষ্কে অনেক কোষ রয়েছে। আমরা যখন রাগারাগি করি, যখন ঝগড়া করি, যখন খারাপ কথা ভাবি—তখন আমাদের ব্রেনের সেল নষ্ট হয়ে যায়।’ তাহলে কি বিরোধীদের ব্রেনের সেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর উঠেছে প্রশ্ন।
কেমন তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি তোপ দেগেছেন। আবার নতুন প্রজন্মকে ভাল থাকার বার্তাও দিয়েছেন। তাই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্রেনে কত সেল রয়েছে তা কেউ জানে না। তাই আমরা সবাই ভাল মনে থাকব, কখনও আঁকব, কখনও আকাশ দেখব, কখনও প্রকৃতি দেখব, কখনও পাহাড় দেখব। মনটাকে খোলা হাওয়ায় দেব। হয়তো এই অনুষ্ঠানে এই সব কথা বলা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু সারাক্ষণ যদি কেউ রাজ্যের সমালোচনা করে যায়, তা হলে কার ভাল লাগে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন ট্রেনের কোচে একটা আরশোলা দেখলে কেউ কেউ চিৎকার করত। এখন তো শুনেছি খুব নোংরা সব কোচ। কই এখন কিছু বলুন।’
কেন রামকৃষ্ণদেবের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আবার বলেন, ‘ঠাকুর বলেছিলেন তুই রোদ্দুরে ঘুরবি বৃষ্টিতে ভিজবি একটু কাশি হবে না, একটু পেট খারাপ হবে না? তাই বলছি, কোনও সংকটে ভয় পাবেন না। মাথা উঁচু করে চলুন।’ নিয়োগ দুর্নীতি–সহ নানা বিষয়ে বিরোধী নেতারা শাসকদলকে চাপে রাখতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে সৎ পথে মাথা উঁচু করে চলার বার্তাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।