কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি এবং কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যো কোনও দলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই। কথাটি শোনা গিয়েছিল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর গলায়। আর আজ সিপিআই একধাপ এগিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী বলে জানিয়ে দিল। তারপরই জাতীয় রাজনীতিতে বামেদের অবস্থান ঠিক কী তা পরিষ্কার করতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজধানীতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর বাংলার বামেদের নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘ওরা পারবে না কেন?’
২০২৪ সালের লক্ষ্যে বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লিতে পা রাখার পরই সেই কাজ শুরু করেছেন তিনি। এই জোটে বামেদের শামিল করতে চান, সেটা জানিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এই রাজ্যে বামেরা ঠিক কোন ভূমিকা নেবে? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই তাঁদের অবস্থান এখন থেকেই পরিষ্কার করে দেওয়ার দাবি জানিযেছেন তৃণমূলনেত্রী। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বামেদের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘বামেদের আগে ঠিক করতে হবে বড় শত্রু কে? জাতীয় স্তরে ওদের অবস্থান স্পষ্ট করুক।’ তারপরই সিপিআই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়।
একুশের নির্বাচনে বামেরা বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রাখে। ‘বিজেমূল’ শব্দের উৎপত্তি হয়। যদিও বামেদের সেই প্রচার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। তারপরেই সুর বদলেছে আলিমুদ্দিন এবং ভূপেশ গুপ্ত ভবন। বিমান বসু পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘বিলম্বিত বোধোদয়’। কিন্তু পলিটব্যুরো নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। এবার সেই অবস্থানই পরিষ্কার করার কথা জানালেন মমতা।