আগামীকাল, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতার বড় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের আর বড় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। এবারের বৈঠকে বদল আনা হয়েছে। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র কলকাতার পুজো কমিটিগুলির মধ্যে বৈঠক সীমাবদ্ধ রাখতেন। কিন্তু এবার বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিতি থাকবে জেলার পুজো কমিটিগুলিও।
বিষয়টি ঠিক কী হতে চলেছে? এই প্রথম কলকাতার পাশাপাশি জেলার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। কলকাতার লাগোয়া এই মহকুমায় কামারহাটির নজরুল মঞ্চ, ব্যারাকপুর সুকান্ত সদন এবং নৈহাটিতে সমস্ত বড় পুজো কমিটির কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে থাকবেন পুলিশ–প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরাও। থাকবেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও।
কী নিয়ে বৈঠক হতে পারে? কলকাতা–সহ জেলার পুজো কমিটিগুলি বেশ কয়েক বছর ধরে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান পাচ্ছে। সেটা নিয়ম করে দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। তাই সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অনুদান নিয়ে কিছু ঘোষণা করেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। এবার অনুদান কমবে নাকি বাড়বে—তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বারাকপুরের মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ‘স্থানীয় থানার মাধ্যমে বিভিন্ন পুরসভা এলাকার পুজো কমিটিগুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই মহকুমার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন। আর এই ধরনের উদ্যোগ একেবারেই প্রথম।’
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই সেপ্টেম্বর মাসেই কলকাতায় এক বিরাট র্যালির আয়োজন করেছে নবান্ন। পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক স্তরে স্থান পেয়েছে। তাই এবার এই পুজোকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ কোনও পরিকল্পনা রয়েছে। তাই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। আবার ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই বছর পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।