ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কে জয়ী হবেন? এটাই হাইভোল্টেজ নির্বাচনের পর বড় প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি খবর। তিনিই এই মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তাঁর মতে, একুশের নির্বাচনে বিজেপি যে ভুল করেছিল ভবানীপুরের উপনির্বাচনেও একই ভুল করেছে৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিপুল ব্যবধানে জয় একপ্রকার নিশ্চিত৷
যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, এই উপনির্বাচনে জয়ী হবেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাঁরা বাড়িতে বসে ট্যুইট করছেন, ফেসবুক করছেন, তাঁদের দিয়ে নির্বাচন চলে না। যাঁরা মার খান, লড়াই করেন, তাঁরাই আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। ভবানীপুরের মানুষ খুশি এমন লড়াকু প্রার্থী পেয়ে। ঘরে বসে কে কী বলছেন, কিচ্ছু যায় আসে না। জয়–বিজয় অনেক কিছু বলে, তাতে পার্টি চলে না।’
এদিকে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও৷ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দাবি করছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কোন ভুল ফের করেছে? এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে বাঙালি প্রার্থী দিয়েই বাংলার মানুষের মন জয় করতে হবে। এখানে অবাঙালি প্রার্থী দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। ভবানীপুর উপনির্বাচনেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একজন অবাঙালিকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর এটাই একই ভুল দলের।’
এই মন্তব্যের পর রাজ্য বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷ তাহলে কী তিনিও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন? উত্তরে অবশ্য জয় বলেন, ‘আমি বিজেপি প্রেমী৷ তবু ভবিষ্যদ্বাণী করতে বাধ্য হয়েছি।’ এতে আরও বিড়ম্বনায় পড়েছে বিজেপি। অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও ভবানীপুরে জিতেছেন। এবারেও জিতবেন৷’ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘অধীর চৌধুরী তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছেন৷ পার্টিটাই ওনার হাতে দিয়ে দিন।’