সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ আগুন লেগেছিল। প্রায় ২০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এল ১১ নম্বর কলুটোলা স্ট্রিটের আগুন। আপাতত ‘কুলিং প্রসেস’ চালাচ্ছে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। সেইসঙ্গে বাড়ির দোতলা এবং তিনতলায় আরও কোনও ‘পকেট ফায়ার’ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতার আগুন-বিভীষিকার তালিকা আরও দীর্ঘ হয় সোমবার - ১১ নম্বর কলুটোলা স্ট্রিটে। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত একটি চারতলা বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়ি থেকে ধোঁয়া থেকে বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন আয়ত্তে আসা তো দূর অস্ত, ক্রমশ আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে যেতে থাকে আরও বহুতলের বেশি অংশ। একটা সময় দমকলের ২২ টি ইঞ্জিন আনা হয়। তাতেও কোনওভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। তারইমধ্যে ছিল জলের সমস্যা। সেই বাধা-বিপত্তি কাটিয়েই রাতের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু গভীর রাতে ফের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকালে দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ‘পকেট ফায়ার’ রয়ে গিয়েছে, সেগুলি নেভানোর কাজ চলছে। আরও কোনও ‘পকেট ফায়ার’ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সব জায়গায় এখনও পৌঁছাতে পারেনি দমকল বাহিনী। তাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরা পড়েছে। বহুতলের কয়েকটি অংশ ভেঙে পড়েছে।
তারইমধ্যে আবারও যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য ‘কুলিং প্রসেস’ চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ বহুতলটি ঠান্ডা করা হচ্ছে। আর সেই কাজ যখন চলছে, তখন বহুতলের সামনে ঝুলছে একগুচ্ছ তার। সেই তারের গুচ্ছ যেন প্রশ্ন করছে, এবার তো না হয় ২০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এল আগুন। কিন্তু তারের জট কাটাতে কী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন?