গোপন সূত্রে খবর ছিল সোনা পাচার করা হচ্ছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই দমদম বিমানবন্দর এবং শিয়ালদা স্টেশনে হানা দিয়ে প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করল শুল্ক দফতর। ঘটনায় আলাদা ভাবে দুজনকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। যারমধ্যে একজনের কাছে ৪৭ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা এবং আরেক জনের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়েছে।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, বুধবার সকালে প্রথমে শিয়ালদা স্টেশনে অভিযান চালান শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাকে প্রথমে আটক করা হয়। এরপরে তার ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে একাধিক সোনার বার। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। এদিকে, শিয়ালদায় অভিযানের পর বিমানবন্দরে সোনা পাচার করার খবর পায় শুল্ক দফতর। ইম্ফল থেকে এক যাত্রী শরীরে প্রচুর পরিমাণে সোনা বহন করে নিয়ে এসেছিলেন। সেই খবরও পাওয়া মাত্রই ওই যাত্রীকেও গ্রেফতার করে শুল্ক দফতর। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৭ লক্ষ টাকার সোনা। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, এই সমস্ত সোনা পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তার আগেই ধরা পড়ে যায় পাচারকারীরা।
এখন ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানতে চাইছেন, তাদের কোথায় এই সোনা পাচার করার কথা ছিল? পাশাপাশি, এদের সঙ্গে কোনও পাচার চক্র জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। যদিও প্রাথমিকভাবে আধিকারিকরা জানতে পারেন তারা যেভাবে বা যে পদ্ধতিতে সোনা পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল তাতে তারা অভ্যস্ত। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত আছে বলেই মনে করছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।
সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গা থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতর। যার মধ্যে হাওড়া স্টেশনে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল দশটি সোনার বার। এছাড়াও জোড়াসাঁকো এবং নদীয়াতে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা হানা দিয়ে সব মিলিয়ে ২ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেছেন।