সবার প্রথম জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই আশঙ্কা সত্যি করে ভাইফোঁটার পরই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্ত আগামী ১৭ নভেম্বর আঘাত হানতে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। সাগরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে সেটি। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার স্পষ্ট হবে গোটা ছবিটা।
পূর্বাভাস অনুসারে থাইল্যান্ড উপসাগরে তৈরি একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত যে কোনও সময় পূর্ব আন্দামান সাগরে প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় আন্দামানে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তর - পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। ১৫ নভেম্বর সেটি উত্তর – পূর্ব দিকে বাঁক নেবে। তখন আরও কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপ। এর পর উত্তর – পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ১৭ নভেম্বর পুরী থেকে চট্টোগ্রামের মধ্যে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে ভূভাগে প্রবেশের আগে ঝড়টির কিছুটা শক্তিক্ষয় হবে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে মিধিলি। ঘূর্ণাবর্তটি শক্তিসঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে কি না সেব্যাপারে একমত নন আবহাওয়াবিদরা।
এখনও পর্যন্ত পূর্বাভাস অনুসারে এই ঝড়ের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ। এই ঝড়ের জেরে ১৬ নভেম্বর রাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বৃষ্টি শুরু হবে। তবে কোন জেলায় কত বৃষ্টি হতে পারে তা নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে বুধবার। তবে ঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে প্রভাবিত হতে পারে কৃষিকাজ।