পরনে সাদা পাঞ্জাবি, মঞ্চে মাইক হাতে একাকী দাঁড়িয়ে গান গাইছেন রূপঙ্কর বাগচী। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশানে গায়ক লিখেছেন, ‘বিদায়’। ফেসবুকের পাতায় রূপঙ্করের এমন পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হঠাৎ কী আবার হল গায়কের?
রূপঙ্কর বাগচীর এহেন পোস্টে অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে গান ছাড়ছেন নাকি শিল্পী? চিন্তার ভাঁজ অনুরাগীদের মনেও। কমেন্ট বক্সে উঠে এসেছে নানান মন্তব্য। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘আমরা যারা তোমার গান জাপটে থাকি, তাদের অনুমতি ছাড়া তো এই ক্যাপশন মঞ্জুর হবে না।’, কারোর প্রশ্ন, ‘বিদায় কথাটার মানে কি?একজন ভালো শিল্পী কি কে একথা মানায়?’ কারোর মন্তব্য, ‘বিদায় এর দায় কেনো?তুমি তো industry এর উপর অনেক দায় রেখেছ, আমরা মনে রাখবো সারাজীবন’। কেউ বলেছেন, ‘যতো দিন প্রাণ, ততো দিন গান। আপনি থাকছেন স্যার। Meditation মন ও মাথা কে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।’ কারোর কথায়, ‘বন্ধু, আমারও কান্না আছে’। আরও একজন তাই লিখেছেন, ’এ কেমন ক্যাপশন!'
তবে এক অনুরাগী হয়ত রূপঙ্করের এমন ক্যাপশানের সঠিক অর্থ খুঁজে পেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার ‘বিদায় গানটা আমার খুব পছন্দের একটা গান।’ হ্যাঁ, খুব সম্ভবত নিজের সেই 'বিদায়' গানের লাইন ধরেই ফেসবুকের পোস্টে এমন ক্যাপশন দিয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী। তবে অনেক লোকজনই পুরো বিষয়টা বুঝতে না পেরে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন।
এদিকে দু'বছর আগে জনপ্রিয় শিল্পী কেকে-কে নিয়ে রূপঙ্কর বলে বসেছিলেন, ‘হু ইজ কেকে ম্যান?’। আর ঘটনাচক্রে তাঁর এমন মন্তব্যের পর পরই কলকাতায় আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কেকে-র। তারপর রূপঙ্করের সেই মন্তব্য সোশ্যালে ভাইরাল হয়। আর তাতেই ভীষণ হইচই শুরু হয়েছিল। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন গায়ক। এমনকি সেসময় খুনের হুমকিও পেয়েছিলেন গায়ক। ক্ষমা চেয়েও লাভ হয়নি। বহুদিন চলেছিল সেই মন্তব্যের রেশ। এমনকি পরে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়েছিল রূপঙ্কর বাগচীকে।
আসলে পুরীতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বাঙালি গায়ককে নিয়ে কম উন্মাদনা দেখে এমন মন্তব্য করে বসেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। এদিকে তার পরপরই যে কেকে-র মতো শিল্পীর এভাবে মৃত্যু হবে, তখন কে তা জানত! তাই রূপঙ্করের এহেন মন্তব্য অনেকেই ভালো চোখে দেখেনননি। এমনকি সঙ্গীত জগতের অনেকেই রূপঙ্করের এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তবে কালের নিয়মে সেই বিতর্ক এখন অতীত। গায়কের 'বিদায়' ক্যাপশানে অনুরাগীদের কমেন্ট দেখেই স্পষ্ট বহু লোকজনই গায়ককে ভালোবাসেন।