ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে অনেকেই পুরনো বাইক, ল্যাপটপ, টিভি প্রভৃতি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। এরকমভাবেই কম দামে পুরনো জিনিস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে বহু মানুষকে ঠকিয়েছিল বালির বাসিন্দা বিশাল সেকসরিয়া। তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন দিল্লির বহু বাসিন্দা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বালি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওড়া আদালতে ট্রানজিট রিমান্ড চেয়ে ওই ব্যক্তিকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু মানুষের কাছ থেকে এভাবে পুরনো জিনিস বিক্রির নামে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে বিশাল। ইনস্টাগ্রামে পুরনো জিনিস কম দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতে সে। প্রথমে গ্রাহকদের মন জয় করার জন্য অল্প দামের কিছু জিনিসপত্র হোম ডেলিভারী করা হত। কিন্তু এভাবেই যে সে গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে চলেছেন সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না গ্রাহকরা। বেশি দামের পুরনো জিনিস কিনতে গিয়েই বিপাকে পড়েন গ্রাহকরা। তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়ার পর আর পুরনো জিনিস ডেলিভারি করা হত না।
সম্প্রতি, দিল্লির জ্যোতিনগর থানায় বেশ কয়েক জন গ্রাহক এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বালির জি টি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে বিশালকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লিতে একটি ছোট সংস্থা খুলে ফেলেছিল বিশাল। অভিযোগ, জিতিন রাম নামে দিল্লির এক বাসিন্দা বিজ্ঞাপন দেখে তার কাছ থেকে পুরনো ল্যাপটপ কিনতে চেয়েছিলেন। তার জন্য অনলাইনে আগেই ৫০ হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিতে বলে বিশাল। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও ল্যাপটপ হাতে না পাওয়ায় ওই ব্যক্তি বিশালের বিরুদ্ধে দিল্লির জ্যোতিনগর থানায় গত ২৫ অক্টোবর প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।