নাগরিককে ন্যায়বিচার দিতে তাঁর দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর একের পর এক রায়ে তোলপাড় হয়েছে রাজনীতি। করোনার লকডাউনের সময় যখন বিমান, ট্রেন পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ, তখন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুম্বই। এহেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের মুখেও রাজ্যের আইনজীবীদের রাজনীতিকরণ নিয়ে উদ্বেগের সুর। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে বললেন, দাদা, বার অ্যাসোসিয়েশনকে রাজনীতির বাইরে রাখুন।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন বিচারপতি দত্ত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। সেই অনুষ্ঠানেই আইনি পেশায় তাঁর যাত্রার স্মৃতিরোমন্থন করেন বিচারপতি দত্ত। সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের রাজনীতিকরণ নিয়ে।
বক্তব্যের শেষপ্রান্তে বাংলায় বিচারপতি দত্ত রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘দাদা, দেখুন না যদি বার অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে দলগত রাজনীতির বাইরে রাখা যায়। রাজনীতি করার জন্য তো গোটা রাজ্যটা পড়ে রয়েছে।’ বিচারপতির অনুরোধ শুনে হাত তুলে সম্মতি জানান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
বলে রাখি, গত ফেব্রুয়ারিতে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে আইনজীবীদের কুৎসিত রাজনীতি দেখেছে রাজ্যবাসী। সেই ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলা চলছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। যে ভাবে আইনজীবীদের একাংশ বিচারপ্রার্থীদের বলপ্রয়োগ করে বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেছে আদালত। তার পর বিচারপতি দত্তর মন্তব্যে স্পষ্ট, কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনে রাজনীতির অনুপ্রবেশে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দিল্লিতেও।