নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসে কথা রাখলেন তিনি। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। উল্লেখ্য, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা যাতে সক্রিয় রাখা যায়, সে বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। আপাতত প্রতিটি জেলায় একটি করে রেশন দোকানের মাধ্যমে এই পরি্যেবা শুরু হতে চলেছে। করোনা বিধি মেনেই বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে সরকার। তবে ভৌগলিক কারণে অবশ্য পাহাড়ে এখনই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে না। রাজ্য সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলার একটি রেশন দোকান থেকে সেই দোকান সংলগ্ন পাড়া বা বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিনই দুয়ারে রেশন প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করার ব্যাপারে খাদ্য দফতরের সচিবের সঙ্গে ফুড কমিশনারের আলোচনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে রেশন ডিলারদের কমিশন দিতে হবে। প্রথম ১৫ দিন রেশন দোকান থেকেই জিনিস নিয়ে সরবরাহ করবেন ডিলাররা। পাশাপাশি প্যাকেজিং বাবদ আলাদা খরচ দেবে রাজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনা মহামারীর সময়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে পারলে অনেকটাই উপকৃত হবেন গরিব মানুষরা।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে থেকেই মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা যাতে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়া যায়, সেজন্য দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন।