ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছনে পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় প্রহর গুণছে রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে ওদের কি হবে? যারা খাঁচায় বন্দি জীবন কাটায়। ঝড়ের দাপট তো তাদের উপরও পড়তে পারে। এই দাপট থেকে রক্ষা করতে আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ে যাতে চিড়িয়াখানার জন্তুদের কোনও অনিষ্ট না হয় তার জন্য ২৫ মে বিকেলেই তাদের নাইট শেল্টারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার জেলায় জেলায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস–এর। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল কলকাতা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে বলে জানানো হয়েছে। তবে তার জন্য মহানগরে ঝড়ের দাপট বা বৃষ্টির কিছু কমতি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জীব–জন্তুদের নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। অনেক সময়ই দেখা যায়, প্রকৃতির তাণ্ডব বুঝতে না পেরে তারা ছুটে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। তখন ঘটে বিপত্তি। এই বিপত্তি ঠেকাতেই নাইট শেল্টারের ভাবনা।
এই বিষয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যাতে ভয় পেয়ে জন্তুরা ছোটাছুটি না করে, তার জন্যই ওদের নাইট শেল্টারে রাখা হবে। ঝড়ে গাছের ডাল বা অন্য কিছু যাতে উড়ে এসে ওদের ক্ষতি করতে পারে। তার জন্যই এই বিকল্প ভাবনা।’
কিভাবে রাখা হবে জন্তুদের? আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, রেপটাইল হাউসের সাপেদের রাখা হবে বাক্সে ভরে। অ্যানাকোন্ডাদেরও শেল্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাখিদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাতিদের নাইট শেল্টারে রাখা হবে। জিরাফদের রাখা হবে তিনটি ঘরে। ঝড়ের দাপটে কোনও কোনও এলক্লোজার ভেঙে গেলে জন্তুরা যাতে বাইরে না বেরিয়ে আসতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।