সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত মিললেও এখনও স্বাভাবিকের অনেকটাই উপরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাই বৃ্ষ্টির দেখা নেই। গরমে নাজেহাল অবস্থা। শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। জ্বর–সর্দি লেগেই আছে। উৎসবের মরশুমে এমন আবহাওয়া আগে দেখা যায়নি। এখন জ্বর হলেই করোনাভাইরাস আতঙ্ক চেপে বসছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দু'ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ এবার বাড়ছে। বৃষ্টি যে আসন্ন তা এই জ্বলীয় বাস্পের পরিমাণ বৃদ্ধি থেকে স্পষ্ট।
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দু'ডিগ্রি বেশি। কিন্তু শহরে বৃষ্টি হয়নি। দমদম এবং সল্টলেকেও বৃষ্টি হয়নি। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ও ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। অর্থাৎ সকালের থেকে বাড়বে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার চোখরাঙানি থাকবে।
শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দু'ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ। শহরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫.৪ মিলিমিটার। দমদমে বৃষ্টি হয় ৭.৪ মিলিমিটার। সল্টলেকে বৃষ্টি হয় ১০.২ মিলিমিটার।
শুক্রবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ। এই যে ধারাবাহিক রেকর্ড দেখা গিয়েছে তাতে আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে পুজোয় এবার বৃষ্টি হবেই।