সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত থেকে রাজ্য পুলিশকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল ইডি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছে তারা। ইডির দাবি, রাজ্য পুলিশের ওপর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই তাদের।
সন্দেশখালিকাণ্ডের ১৩ দিন পর গত ১৭ জানুয়ারি ওই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিটে নেতৃত্বে রাজ্য পুলিশের একজন পুলিশ সুপার ও সিবিআইয়ের একজন সম পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে জানান, এই তদন্তে কোনও ভূমিকা থাকবে না স্থানীয় ন্যাজাট থানার। সেই নির্দেশের পর রাজ্য সরকার যশপ্রীত সিংয়ের নাম সুপারিশ করলেও সিবিআইয়ের তরফে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এর মধ্যে এক এক করে কেটেছে ২৭টা দিন। ওই দিন আক্রান্ত ইডি আধিকারিকরাও প্রায় সুস্থ। এরই মধ্যে বিচারপতি সেনগুপ্তের সিট গঠনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসের দ্বারস্থ হল ইডি।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই। এর আগে কুন্তল ঘোষের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য পুলিশ ও সিবিআই আধিকারিকদের দিয়ে সিট গঠন করেছিল নিম্ন আদালত। সেই সিট অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে। এমনকী সেই সিটে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সন্দেশখালি কাণ্ডে যে রাজ্য পুলিশ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে ১ মাসেও ধরতে পারেনি তারা সিটের সদস্য হলে এমন কী দৈব শক্তি লাভ করবেন যে সেই কাজে সফল হবেন? এই পরিস্থিতিতে আসল অপরাধীদের ধরতে সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন।