রেশন দুর্নীতিতে হাওয়ালা যোগের আরও স্পষ্ট প্রমাণ পেল ইডি। বড়বাজারে তল্লাশি চালিয়ে হাওয়ালার চিরকুট ও খুচরো নোট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫ লক্ষ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই সব হাওয়ালার কারবারিদের মাধ্যমেই কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূলি পুরপ্রধান শংকর আঢ্য ও তাঁর সহযোগীরা।
মঙ্গলবার কলকাতা ও বিধাননগরের ৬টি ঠিকানায় একযোগে হানা দেন ইডির গোয়েন্দারা। তার মধ্যে রয়েছে বড়বাজারের পোস্তার বেশ কয়েকটি ঠিকানা। সেখানে একটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে বহু হাওয়ালার চিরকুট ও ১ ও ৫ টাকার নোট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, এই সব নোট আসলে হাওয়ালা কারবারের পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে ৫ লক্ষ নগদ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: গায়ের রং আর শারীরিক গঠন দেখে আদিবাসী মহিলাদের চিনতে পারি, TMCর নারায়ণ গোস্বামী
তদন্তকারীদের অনুমান, হাওয়ালার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন শংকর আঢ্য ও তাঁর সহযোগীরা। এভাবেই সরকারি সংস্থাগুলির নজর এড়িয়ে বিদেশে চলে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা। ইডি আগেই জানিয়েছেন, শংকর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৯০টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে গত ১০ বছরে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। তার মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শংকরের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। এর মধ্যে অন্তত ২ হাজার কোটি সরাসরি গিয়েছে দুবাইয়ে। সরকারের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এত টাকা বিদেশে গেল তার তদন্তে নেমেই রেশন দুর্নীতিতে হাওয়ালা যোগ পান তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি ক্যামেরার নজরদারি, বাড়তি জোর প্রশ্নপত্র সুরক্ষায়
মঙ্গলবার সকালে বিধাননগরে শংকর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৪। গোয়েন্দাসূত্রে খবর, ধৃত বিশ্বজিতের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়, আমদানি - রফতানি কারবার রয়েছে। এছাড়া সোনা কেনা - বেচায় যুক্ত তিনি। এই সব কারবারের ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করেছেন তিনি।