‘রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর ভাবনা চলছে’, ধনখড়ের উদ্দেশ্যে তোপ ব্রাত্যর
১ মিনিটে পড়ুন . Updated: 24 Dec 2021, 04:02 PM IST- সরাসরি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রথম তারিখটি ছিল ২০ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় তারিখটি ছিল ২৩ ডিসেম্বর। এই দুটি তারিখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেননি। ফলে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে টুইট করেন। সেখানে লেখেন, ‘ভয়ঙ্কর ইউনিয়নবাজি’। এবার এই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সরাসরি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী আচার্য পদ থেকে তাঁকে সরানোর বিষয়েও সোচ্চার হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সুতরাং রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রী সংঘাত লেগে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজ্যপাল টুইটে লিখেছিলেন, রাজ্য সরকারের ভয়ে আপনারা আসতে পারছেন না। এটাই বিবাদের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী? আজ শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চ্যান্সেলর পদ থেকে তাঁকে সরানোর ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর ভাবনা রয়েছে। তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে সাংবিধানিক ও আইনি দিক। যদি দিনের পর দিন এভাবে ফাইল ফেলে আটকে রাখেন, বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব না দেখান, তাহলে কেরলের রাজ্যপাল যেটা বলেছেন, অন্তবর্তী সময়ের জন্য চ্যান্সেলর পদে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কি না, সেটা খতিয়ে দেখব। ওঁর পদের যে কাজ, সেটা উনি ভুলে যাচ্ছেন। অতীতে কোনও রাজ্যপালের সময় এরকম হয়নি। কেরলের রাজ্যপাল কিছুদিন আগে এরকম কথাই বলেছেন। আমরা তাঁর কথার পুনরাবৃত্তি করছি মাত্র। কোনও রাজ্যপাল যখন তাঁর রাজ্যের ক্ষেত্রে এই কথা বলছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সব রাজ্যেই সেটা হতে পারে।’ এই মন্তব্য করার পর থেকেই জোর আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপাল টুইটে কী লিখেছিলেন? ট্যুইটে জগদীপ ধনখড় লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থার ছবিটা ভয়াবহ। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে এলেন না। শিক্ষাক্ষেত্রে চরম দলবাজি চলছে।’ এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী রাজ্যপাল ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দিয়ে তদন্ত করাবেন বলেছেন। যা ষিক্ষাক্ষেত্রে বাধাদান বলে মনে করছেন ব্রাত্য বসু।