সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তবে এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই নির্বাচনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কেমন করে স্বচ্ছ নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেটা নিয়েই ভাবনাচিন্তা করছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। বুথ জ্যাম থেকে ছাপ্পা ভোট ঠেকাতে লোকসভা নির্বাচনে আসতে চলেছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি। এমনকী যে বুথে ওয়েব কাস্টিং হবে সেখানেও ব্যবহার করা হবে (এআই) আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও গরমিল হলে এআই তা চিহ্নিত করে সংকেত পাঠাবে। সেই সংকেতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ করা সহজ ও দ্রুত হবে।
এদিকে ওয়েব কাস্টিং নিয়ে ইতিমধ্যেই ই–টেন্ডার ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। লোকসভা থেকে বিধানসভা নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে শুরু হয়েছিল এই ওয়েব কাস্টিং। সেই প্রযুক্তি নিয়েও অবশ্য অভিযোগ আছে বিস্তর। কখনও লোডশেডিং, কখনও ওয়েব ক্যামের গাফিলতি–সহ যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে ওয়েব কাস্টিং অনেক বুথেই ব্যর্থ হয়েছে। আসলে জেলা প্রশাসনের রিপোর্টের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে চাইছেন না নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। এআই প্রযুক্তির আরও উন্নত ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভোটগ্রহণ থেকে ভোটগণনা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এআই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনে কারচুপিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৫০ শতাংশ বুথে এই ব্যবস্থা রাখা নিয়ে চিন্তা চলছে। আবার স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দেখে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ওয়েবকাস্ট করার বিষয়টি তো থাকছেই। সেখানে ভিডিয়ো এবং অডিয়ো রেকর্ড হলে সেটা যাচাই করে সংকেত দেবে এআই প্রযুক্তি। বাংলায় মোট বুথের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৫৩টি। তার মধ্যে কতগুলি বুথ স্পর্শকাতর সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। কারণ, ভোট ঘোষণা এবং নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধি কার্যকর করার চূড়ান্ত সমীক্ষা শেষে সবটা বোঝা যাবে। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এআই নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাঙা রাস্তায় চরম দুর্ভোগে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী, অগত্যা গাড়ি ছেড়ে উঠলেন টোটোয়
এছাড়া বিধানসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে শাসক–বিরোধী সব পক্ষই অভিযোগ তুলেছিল নির্বাচন কমিশনের দিকে এই ওয়েবকাস্টিং নিয়ে। ওয়েব কাস্টিংয়ের বেশ কিছু খামতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেভাবে কাজ করবে তাতে আর কোন অভিযোগের আঙুল উঠবে না বলেই মনে করছেন নির্বাচন কমিশন। রাজ্যসভার ভোট নিয়েও বিধানসভার আধিকারিকদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের সাতটি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে চলতি মাসের মধ্যে বকেয়া সব কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।