ইভিএম পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তুঙ্গে প্রস্তুতি

কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ বিধানসভা কেন্দ্রগুলির ভোটযন্ত্র বা ইভিএম পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। এই ফার্স্ট লেভেল অফ চেকিং চলবে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ফাইল ছবি

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই নির্বাচনের পারদ উর্দ্ধমুখী। এই পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, মাঝপথে যন্ত্র বিগড়ে না যায়, তার জন্য এখনই সচেষ্ট হয়েছে পুলিশ, প্রশাসন। কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ বিধানসভা কেন্দ্রগুলির ভোটযন্ত্র বা ইভিএম পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। এই ফার্স্ট লেভেল অফ চেকিং চলবে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।

লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতার ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য তেলঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং হায়দরাবাদ থেকে ভোটযন্ত্র চলে এসেছে। সেগুলি রাখা হয়েছে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিং, পাইকপাড়া বাস ডিপো এবং আলিপুরে নব প্রশাসনিক ভবনের দশ তলায়। ইভিএম পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরা।

জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক ভবনে রয়েছে টালিগঞ্জ, যাদবপুর, কসবা, বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিম ও মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম। ৪,৮০৫টি ইভিএম পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের আধিকারিক এবং নির্বাচন কমিশনের ইঞ্জিনিয়াররা ছাড়া থাকছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। থাকছেন রিটার্নিং অফিসার–সহ পুলিশের প্রতিনিধিরাও। প্রত্যেকেই সরেজমিনে দেখে নিচ্ছেন ইভিএম মেশিন। কোনও কারসাজি করা আছে কিনা তাও দেখছেন তাঁরা।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন হাইভোল্টেজ হতে চলেছে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হচ্ছে। কারণ জানুয়ারি মাসেই বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই ভোটযন্ত্রে মূলত তিনটি ইউনিট থাকে— কন্ট্রোল ইউনিট, ভিভিপ্যাট ইউনিট এবং ব্যালট ইউনিট। এই তিনটি ইউনিটই ঠিক আছে কি না, সেই পরীক্ষাই চলছে এখন। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে সার্ভে বিল্ডিংয়ে শুরু হবে বালিগঞ্জ, রাসবিহারী, বন্দর এবং ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র পরীক্ষার কাজ। তা চলবে ১৬ তারিখ পর্যন্ত। আর ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সাতটি বিধানসভার ইভিএম পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা হবে পাইকপাড়া বাস ডিপোয়।

সূত্রের খবর, ইভিএমের আওয়াজ, সিগন্যাল ঠিক আছে কি না, যন্ত্রের বোতামগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না— সে সব পরীক্ষা করে দেখছেন ইঞ্জিনিয়াররা। পরীক্ষার সময়ে কোনওরকম ত্রুটি নজরে পড়লে তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হচ্ছে এবং শুধরে নেওয়া হচ্ছে।