বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Fire at SSKM: এসএসকেএমে ভয়াবহ আগুন, আতঙ্ক, হাসপাতালে মন্ত্রীরা, এলেন মুখ্যসচিব

Fire at SSKM: এসএসকেএমে ভয়াবহ আগুন, আতঙ্ক, হাসপাতালে মন্ত্রীরা, এলেন মুখ্যসচিব

এসএসকেএমে আগুন। টুইটার

ভয়াবহ পরিস্থিতি এসএসকেএমে। আচমকাই আগুন এসএসকেএমে। রোগীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক।

এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পেছন দিকে আগুন। সিটি স্ক্যান বিভাগের একাংশে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায় হাসপাতালের ওই বিভাগে। এমার্জেন্সি বিভাগের কাছেও আগুন লেগে যায়। ভয়াবহ পরিস্থিতি। গল গল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ফিরে আসে সেই ৬ বছর আগের হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি। দমকলের ৯টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। এদিকে ভেতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ রয়েছে বলে খবর। মুখ্য়সচিব রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন। সিটিস্ক্যান বিভাগ থেকে আগুন ছড়ায় বলে মনে করা হচছে।

প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল এমার্জেন্সি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুনের উৎসস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

তবে গভীর রাতে ধীরে ধীরে ফের জরুরী বিভাগ খুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, আগুন লাগার সময় বাজি ফাটার মতো শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগার খবরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। আগুন যাতে কোনওভাবেই না ছড়ায় সেব্যাপারে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, যে সময় আগুন লেগেছিল সেই সময় সেখানে একাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। বড় বিপদ হয়ে যেতে পারত। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন দমকলকর্মীরা। এদিকে জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তি কিছুক্ষণের জন্য় বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একের পর এক মন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছন। মন্ত্রী অরূ  কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হাসপাতালের সমস্ত রোগী নিরাপদে রয়েছেন।

বিধায়ক মদন মিত্র জানিয়েছেন, বাংলার মানুষের কাছে হাতজোড় করে বলছি বিভ্রান্ত হবেন না। বিজেপির কোনও নেতাকে তো দেখছি না। বাপের বেটা হলে আয় পিজিতে? দাবি মদন মিত্রের।

সূত্রের খবর, জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেন দমকলকর্মীরা। রোগীদের সুরক্ষার জন্য নিউ ক্য়াজুয়াল্টি বিভাগ থেকে কিছু রোগীকে অন্যত্র সরানো হয়। তবে রাতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে খবর। 

এক রোগীর আত্মীয় বলেন, আমার বাবা ভর্তি হাসপাতালে। অক্সিজেন চলছিল। প্রবল ধোঁয়া বের হচ্ছিল। বাবাকে দ্রুত সরানো হয়ে অন্য ঘরে।

 

বন্ধ করুন