অষ্টমীর সন্ধ্যায় শহরে যখন মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনে মানুষের ঢল নেমেছে, তখনই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে আতঙ্ক ছড়াল উত্তর কলকাতায়। বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগল একটি বাড়িতে। ঘটনায় প্রাণহানির কোনও খবর না পাওয়া গেলেও বেশ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হন বলে জানা গিয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ উল্টোডাঙার ইস্ট ক্যানাল রোডের একটি বাড়িতে। এই ঘটনার পরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পৌছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত গোটা বাজার, বড় ক্ষতি নকশালবাড়ির ব্যবসায়ীদের
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মানিকতলার কাছে ইস্ট ক্যানাল রোডের ওই বাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। তার কিছুক্ষণ পরে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুজোর আনন্দের মধ্যেই এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। আগুন আশেপাশেও ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত খবর পাঠানো হয় দমকলে। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে দমকলের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাইড্রোলিক মই ব্যবহার করেন দমকল কর্মীরা। কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও কতগুলি সিলিন্ডার ফেটেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন প্রয়াত বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডের মেয়ে শ্রেয়া পান্ডে। তিনি দাবি করেছেন, অন্তত ছটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেছে। একই সঙ্গে দমকলের তৎপরতার জন্য কোনও রকমের প্রাণহানির ঘটেনি বলেও তিনি জানিয়েছেন। যারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ওই বাড়িতে কীভাবে পরপর এতগুলি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দমকল। তারপরেই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। উৎসব চলার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।