সামনেই কালীপুজো। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিবছরের মতো এবারও বৈঠক সেরে ফেললেন আতশবাজি প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতারা। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু'বছর ধরে বাজি বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাই ওয়ান উইন্ডো সিস্টেম পুনরায় চালু করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানালেন বাজি প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতারা।
পুজোর আগে উদ্ধার দেড় হাজার কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি, গ্রেফতার ট্রাক চালক
সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি (অল বেঙ্গল ফায়ারওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে এক লক্ষ বাজি প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতা তাদের লাইসেন্সের জন্য অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে তাদের পুলিশ, স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েত এবং ফায়ার ব্রিগেড সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নো অবজেকশন পত্র চাইতে হয়। যার ফলে তাদের চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ওয়ান উইন্ডো সিস্টেম পুনরায় চালু করা হলে সেই সমস্যা মিটবে।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানিয়েছেন, নির্মাতাদের একটি প্রতিনিধি দল নবান্নে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে, নিষিদ্ধ বাজি বিরোধী অভিযানের নামে তাদের পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেকথাও জানানো হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যের বাজি প্রস্তুতকারকরা গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি তৈরি করে আসছেন, যা শিবকাসি থেকে আসা আতশবাজির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। অথচ তারপরেও পরিবেশ দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সেই সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করছে।
রাজ্যের ছোট এবং মাঝারি আতশবাজি প্রস্তুতকারক এবং ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেই সমস্যার সমাধান না হলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৩১ লক্ষ মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন। একইসঙ্গে দীপাবলির সময় বিদেশি বাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করারও আবেদন জানিয়েছেন বাজি প্রস্তুতকারকরা।