অবশেষে কলকাতা বিমানবন্দরের বহু বছরের সমস্যার সমাধানের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া যশোর রোড বরাবর মধ্যমগ্রামের দিকে এগোতে থাকলে বিমানবন্দরের টানা পাঁচিলের মাঝে এক জায়গায় রয়েছে একটি তোরণ। সেই তোরণ থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে এগিয়ে গিয়েছে একটি সরু রাস্তা। যা শেষ হয় একটি মসজিদে গিয়ে। গৌরীপুর জামে মসজিদ। কলকাতা বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজে যা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রাযুক্তিক পরিভাষায় ‘লিটল বয়’ নামে উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু বিমানবন্দর হওয়ার বহু আগে থেকে ওখানেই রয়েছে মসজিদটি। ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯০ সালে। যেখানে কলকাতা বিমানবন্দর চালু হয় ১৯২৪ সালে৷ আর ১৯৬২ সালে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু মসজিদ থেকে যায় বিমাবন্দরের পাঁচিলের ভেতরই৷ সব ঠিকই চলছিল যতদিন না দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে। আর তা করতে মসজিদ সরাতেই হবে। আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্মীয় আবেগ।
তবে এবার কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনার জেরে এত দিন পর বরফ অনেকটা গলেছে বলে দাবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। কারণ, দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক বিমানবন্দরে বড় বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ের শেষে ২৪০ মিটার বাড়তি জায়গা রাখতে কেন্দ্রের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে কলকাতার দ্বিতীয় রানওয়েতে সেই বাড়তি জায়গা মাত্র ১৬০ মিটার। সেই কথা উল্লেখ করে ৩ ইসলামিক সংগঠন— জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ, দারুল উলুম দেওবন্দ ও মুসলিম ল বোর্ডকে চিঠি পাঠানো হয়। তারা এবার আলোচনায় বসতে রাজি। আশা করা যায়, বহু বছরের এই সমস্যার সমাধান শীঘ্রই হবে।