Haimanti Ganguly: ওরা মরে গেছে…মুখ খুললেন বোনও, সামনে হৈমন্তীর রঙিন জীবন

সূত্রের খবর, তিহাড় জেল থেকে বের হওয়ার পরে ফের গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ হয় হৈমন্তীর। আর তারপরই নাকি গোপাল দলপতির নাম বদলে হয়ে যায় আরমান গাঙ্গুলি। এমনকী হৈমন্তী একটি ছবিতে হাওড়ার বাসিন্দা তার একজন পরিচিতকে দিয়ে বিনিয়োগও করেছিলেন।

হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। সংগৃহীত ছবি

এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নয়া নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়। খোদ কুন্তল ঘোষ সেই নাম ভাসিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে হৈমন্তীর মায়ের দাবি, কোথায় হৈমন্তী জানি না। ওরা মরে গিয়েছে। মেয়ে জামাই সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলতে চান না বাড়ির লোকজন।

সূত্রের খবর, গোপাল দলপতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হৈমন্তীর। পরে বিয়ে। বেশ ধূমধাম করেই হাওড়ার বাকসারাতে বিয়ে হয়েছিল হৈমন্তীর। আর প্রতিবেশীরা এদিন হৈমন্তীর ছবি দেখেই বলে ওঠেন, কেন জানব না। ওর বিয়ে খেয়ে এলাম। ছোটবেলা থেকে ওকে দেখেছি। প্রতিবেশীরা বলছেন, বেশ ধূমধাম করে বিয়ে হয়েছিল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় ও গোপাল দলপতির। কিন্তু তারপর?

সূত্রের খবর, হৈমন্তী অ্য়াগ্রো লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিও তৈরি হয়েছিল। কলকাতায় সেই অফিস। কিন্তু সেই অফিসে আর কেউ এখন আসেন না। এদিকে কলকাতার ফ্ল্যাটেও কিছুদিন ধরেই আসেন না হৈমন্তী। এখানেই থাকতেন গোপাল দলপতিও। ফ্ল্যাটের আবাসিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল গোপালের। কিন্তু হৈমন্তী মাঝেমধ্য়ে টুকটাক কথা বলতেন। সেই ফ্ল্য়াটের বাইরে সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে পড়ে রয়েছে হৈমন্তীর সিনেমার স্ক্রিপ্ট।

তবে হৈমন্তীর মায়ের দাবি, গোপালের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল হৈমন্তীর। তবে সূত্রের খবর, তিহাড় জেল থেকে বের হওয়ার পরে ফের গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ হয় হৈমন্তীর। আর তারপরই নাকি গোপাল দলপতির নাম বদলে হয়ে যায় আরমান গাঙ্গুলি। এমনকী হৈমন্তী একটি ছবিতে হাওড়ার বাসিন্দা তার একজন পরিচিতকে দিয়ে বিনিয়োগও করেছিলেন। তবে প্রশ্ন উঠছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকাও কি গোপাল দলপতি ও হৈমন্তীর মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হত টলিউডে? সেই প্রশ্নও উঠছে। 

এদিকে এদিন হৈমন্তীর বোনও সংবাদমাধ্য়মের সামনে মুখ খোলেন। কার্যত দিদির প্রতি তিনি যে বিরক্ত সেটাও এদিন দৃশ্যতই বোঝা যায়। হৈমন্তীর বোন বলেন, দিদি কোথায় আছে আপনারাই খুঁজে বের করুন। আমরা কোথা থেকে জানব!

হাওড়ার বাকসারা রোডে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়দের আদি বাড়ি। সেখানে মা, বোন, বাবা থাকেন। হৈমন্তীও মাঝেমধ্য়ে আসতেন। কিছুদিন আগেও তিনি এসেছিলেন। তবে পাড়ার মেয়েটার সঙ্গে এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিকে জড়িয়ে দেওয়া হবে তা যেন বুঝতেই পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরা। সবটাই তাঁদের কাছে ধাঁধার মতো লাগছে। 

হৈমন্তীর মা জানিয়েছেন, ওরা নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করেছিল। আমরা আপত্তি জানাইনি। যা ভাগ্যে আছে সেটাই হবে। ওরা মরে গিয়েছে…কার্যত মেয়ে জামাইয়ের প্রতি দৃশ্য়তই অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।