হরিদেবপুরের অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য। বান্ধবীর বাড়িতে অয়নকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেই দেহ লোপাটের জন্য় ঠিক কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল? সূত্রের খবর, দেহ লোপাটের জন্য অভিনব পরিকল্পনা করেছিল বান্ধবীর বাবা। হাইব্রিড মাগুর মাছ চাষ হয় এমন ভেড়িতে অয়নের দেহ ফেলে দেওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিল বান্ধবীর বাবা। কারণ এই ধরনের মাগুর মাছ সাধারণত মাংসখেকো হয়। সেক্ষেত্রে অয়নের দেহ সেই ভেড়িতে একবার ফেলে দিতে পারলে আর কোনওদিন দেহ পাওয়া যাবে না।
কিন্তু সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায়নি। ছোট গাড়িতে চাপিয়ে রাতেই জুলপিয়া রোডের ধারে দুটি ভেড়ির কাছে বডি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ভেড়িতে রাত পাহারার ব্যবস্থা ছিল। এর জেরে ধরা পড়ে যাওয়ার আতঙ্কে আর সেখানে দেহ ফেলে দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি বান্ধবীর পরিবার।
এরপরই হরিদেবপুর থেকে প্রায় ২১ কিমি দূরে মগরাহাটের একটি পরিত্য়ক্ত জমিতে দেহ ফেলার ছক কষা হয়। সেই প্ল্যান অনুসারেই ওড়িশা থেকে ধৃত কিশোর দেহটি ওই জমিতে ফেলে দেয়।
সূত্রের খবর, প্রচণ্ড মারধরের পরে আধমরা হয়ে গিয়েছিল অয়ন। এরপর ফের তাকে মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠছে বান্ধবী ও তার মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের গোপন ভিডিয়ো দেখিয়ে নানা সময় ব্ল্যাকমেলিং করত অয়ন। এমনকী সালিশি সভাও হয়েছিল এনিয়ে। এবার সমস্ত সূত্রই মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই দাবির মধ্যে কতটা সত্য়তা রয়েছে সেটাও দেখা হচ্ছে।