চাঁদিফাটা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত করা অবস্থা সাধারণ মানুষের। কিন্তু বেরোতে তো হবেই। আর কাজও করতে হবে। বিশেষ করে ট্রেনে, বাসে করে যাঁদের কাজ করতে হয় তাঁদের কষ্টটা আরও বেশি। এই আবহেই অফিস যাতায়াত এবং বাড়ি ফেরা লাগামছাড়া কষ্টের সাক্ষী থাকতে হয় নিত্যযাত্রীদের। তীব্র দাবদাহে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। আর এই তাপদগ্ধ গরমে তাই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। সাধারণ টিকিট কেটে বাতানকুল সংরক্ষিত কামড়ায় উঠে পড়ছেন। এই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে বিড়ম্বনা বেড়েছে রেলের বলে খবর।
আসলে এত গরমে সাধারণ কামরায় সফর করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সারাদিন কাজ করার পর সাধারণ কোচের পরিবর্তে একটু স্বস্তির খোঁজে এসি কামরায় ঢুকে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এটাই আবার অনেকে মেনে নিতে নারাজ। তাঁরা সরাসরি অভিযোগ করে বসেছেন রেলের কাছে। তাই রেল এবার কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে খবর। আর যাঁরা মোটা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসি কামরায় উঠেছেন তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্বস্তি পাচ্ছেন না সংরক্ষিত কোচের যাত্রীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রেলের পরিষেবার বিরুদ্ধে। এই বিকল্প পথ খুঁজে একটু শরীরটা ঠাণ্ডায় মেলে দিতে চেয়েছিলেন যে যাত্রীরা এবার তাঁদের জরিমানা করতে চলেছে রেল বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: নীতীন গড়কড়ির সুস্থতা কামনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনকে খোঁচা এক্স হ্যান্ডেলে
এদিকে তীব্র গরমে এসি ও সংরক্ষিত কোচের দখল নিচ্ছেন সাধারণ কামরার যাত্রীরা। এটা নিয়েই আপত্তি অনেকের। এই আবহে সংরক্ষিত এসি কামরার কয়েকজন যাত্রী ঘটনার ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেন। দ্রুত সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। তা দেকেই এবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রেল। সংরক্ষিত ও এসি কোচ থেকে ওই সব অবৈধ যাত্রীদের সরানোর অভিযান শুরু হয়েছে হাওড়া এবং বর্ধমান স্টেশনে। আর মঙ্গলবার দেখা গেল, হাওড়া স্টেশন ছাড়ার আগেই পূর্বা, মিথিলা এবং উপাসনা এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালিয়েছে আরপিএফ ও টিটিরা। বর্ধমান স্টেশনেও পূর্বা, জম্মু তাওয়াই এবং মিথিলা এক্সপ্রেসে একযোগে তল্লাশি চালিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ যাত্রীদের।
সুতরাং বিকল্প পথ বেছে নিয়েও একটু আরাম মিলছে না সাধারণ যাত্রীদের। গরম সহ্য করেই সফর করতে হচ্ছে তাঁদের। এই বিষয়ে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘গরমে এমনিতেই অসুবিধা পড়েন যাত্রীরা। তার উপর সংরক্ষিত ও এসি কামরায় সাধারণ কোচের যাত্রীরা উঠে পড়লে অসুবিধা আরও বাড়ে। এই পরিস্থিতির মুখে যাতে পড়তে না হয় সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের তাই সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রচুর অবৈধ যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সব কামরাতে আবার মাঝপথে কেউ চড়তে যাতে না পারে তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাই টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।