নিম্ন আদালতে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত ১৩ ডেসিমেল নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী। বৃহস্পতিবার অমর্ত্য সেনকে স্বস্তি দিয়ে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-র একক বেঞ্চ। ওই জমি থেকে উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমন কী নোটিসের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে পৌঁছে যাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌঁছে যাবে উচ্ছেদ করতে, তাও নোটিসে জানানো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই নোটিসেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানি রয়েছে।
দিন কয়েক আগেই অমর্ত্য সেনকে পৈতৃক ভিটের ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য উচ্ছেদের নোটিস দেয় বিশ্বভারতী। ৬ মে মধ্যে খালি করে দেওয়ার কথা বলা হয়। এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন নোবেলজয়ী। আরজি জানানো হয় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নোবেলজয়ী। কিন্তু বিশ্বভারতী জমি খালি করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। আবেদনে তিনি জানান, ৬ মের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁর জমি কেড়ে নিতে পারে। তিনি আবেদনে এও জানান যে, সিউড়ি আদালত তাঁর আবেদনের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি।
প্রায় ১.৩৮ একর জমিতে রয়েছে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি ‘প্রতীচি’। সেই বাড়ির ১৩ ডেসিমেল জায়গা তাদের বলে দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আগেও একাধিকবার তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়। তবে এবার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।