মামলার শুনানিতে দেরি হচ্ছে, তাই হস্তক্ষেপের আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু মামলা দুটি ফের হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত। দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বার শুভেন্দু অধিকারীর সেই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
এই মামলা দু'টির দ্রুত শুনানির আর্জি প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের আবেদন দেখে মনে হচ্ছে, মামলাকারীর জন্যই যেন শুনানিতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু হাইকোর্টের দেখে মনে হচ্ছে দ্রুত শুনানিতে কোনও পক্ষই আগ্রহী নন। বিচারপতি বলেন,'দীর্ঘ শুনানির সময় এই এজলাসের নেই। আদালতের আরও ৫০ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্য কোনও এজলাসে মামলাগুলি পাঠানো হোক।'
প্রসঙ্গত, এই দুটি মামলার মধ্যে একটি কাঁথি সমবায় সমিতিতে দুর্নীতি মামলা। যে মামলায় আগেও আরও এক বিচারপতি সরে দাঁড়ান। বিচারপতি পার্থসারথি সেন সরে দাঁড়ানোর পর মামলা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এবার তিনিও এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন।
(পড়তে পারেন। ২ মেয়ের চাকরি হয়েছিল, আরও কিনতে হুগলির সেই TMC নেতাই শান্তনুকে দেন ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা!)
অন্য একটি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদের দিয়েছিলেন রাজাশেখর মান্থা। এমন কী তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে দু'টি মামলার শুনানি না হওয়ার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কোনও হস্তক্ষেপ না করে হাইকোর্টেই ফেরত পাঠান।
(পড়তে পারেন: 'লড়াই চলবে', পুলিশ বনাম কুস্তিগীর পর্বে কেন্দ্রকে তোপ মমতার)
অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হয়ে এই মামলা দাখিল করে কলকাতা পুলিশ। কালীঘাটে একটি বাসকে কেন্দ্র একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলা করেছে পুলিশ।