এবার অনেকে আশা করেছিলেন দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের ইলিশ দিয়ে পাতপেড়ে ভাত খাবেন। কিন্তু সে আশায় জল পড়েছে। কারণ এখন ইলিশ মাছ রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সুতরাং দুর্গাপুজোর পরে ভাইফোঁটাতেও পাতে মিলবে না বাংলাদেশের ইলিশ। পদ্মার ইলিশ এবার এপারে বেশি আসায় অনেকে বুক বেঁধে ছিলেন দুর্গাপুজোতেও মিলবে বলে। কিন্তু সেটা তো হলই না, উলটে পুজো মিটলে ভাইফোঁটাতেও ইলিশ আসবে না।
এদিকে দুর্গাপুজোয় বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য এবার বাংলাদেশের কাছে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠানোর আর্জি করা হয়েছিল। তবে সেই চাহিদা পূরণ হয়নি। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছে এপারের খাদ্যরসিক বাঙালিরা। এই বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষণা করেছিলেন, দুর্গাপুজোয় ভারতে তাঁদের দেশের ইলিশের অভাব হবে না। ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর কথা জানানো হয়েছিল। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলার বাজারে দেখা নেই রূপোলি ফসলের। যা মিলছে সেগুলি হিমঘরের।
অন্যদিকে পদ্মা–মেঘনার ইলিশ পেয়ে এপারের মানুষ এবং ইলিশ ব্যবসায়ীরা খুশি হযেছিল। কিন্তু মাত্র ৫৬০ টন ইলিশ এপারে আসার পরেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি এবং রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তখন ইলিশ মাছ ধরলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে কলকাতার ব্যবসায়ীরা নভেম্বর মাসের শেষ দিক পর্যন্ত ইলিশ মাছ রফতানির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মণ্ডপের বাইরে চপ–ঘুগনির স্টল দিলেন বেকাররা, নবমীতে প্রতীকী প্রতিবাদ
আর কী জানা যাচ্ছে? এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো তো বটেই, কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার সময়েও বাংলাদেশের ইলিশ মাছ কলকাতায় আসার সম্ভাবনা নেই। ২০২৩ সালের বাকি সময়ে রাজ্যে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ মিলবে না বলেই মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। দুর্গাপুজোর সময়ে আবার ইলিশ রফতানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই বছরে মোট অনুমোদনের মাত্র ১৪ শতাংশ ইলিশ রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এই বিষয়ে মাছ আমদানিকারক সমিতির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর ইলিশ কম থাকায় দামও বেড়েছে। চলতি বছর ইলিশ মাছের দাম ১১০০–১৩৬০ টাকা হয়েছে।’