একেবারে গোছা গোছা নালিশ। মানে ছোট খাটো যে সমস্যাই হোক না কেন সোজা নালিশ জেপি নাড্ডার কাছে। গোছা গোছা পোস্ট কার্ড আর ইমেলের ঠ্যালায় একেবারে তিতিবিরক্ত অবস্থা কেন্দ্রীয় বিজেপির। বিশেষত বাংলা থেকে যে পরিমাণ নালিশ রোজ যাচ্ছে নাড্ডার কাছে তাতে রীতিমতো বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এদিকে বঙ্গ বিজেপির অনেকেই ইদানিং বলেন, যেখানে বলার বলে দিয়েছি। আসলে সেই নালিশটা যে তাঁরা একেবারে নাড্ডার কাছে করেন এটা এতদিনে পরিষ্কার হল। মানে পার্টি অফিসে কে কবে মদ খেয়েছে, কোন বুথ সভাপতি দলের মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছেন না, কোন নেতা দুর্ব্যবহার করেছেন, কে মিটিংয়ে ডাক পাননি, কে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন বলে মনে হচ্ছে, এমনকী দলের টাকায় কারা ফূর্তি করছেন, অথবা কারা তলায় তলায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সব নালিশ গিয়ে পড়ছে নাড্ডার কাছে।
এমনকী সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে সম্পর্ক ঠিক নেই, তাঁদের মধ্য়ে সমণ্বয় ঘটানো দরকার বলেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর জেরেও নালিশ জানানো হয়েছে জেপি নাড্ডার কাছে।
এমনকী ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য দফতরে এক নেতার উদ্যোগে মদের আসরও বসছে। এনিয়েও চিঠি গিয়েছে নাড্ডার কাছে। এর জেরে রীতিমতো তিতিবিরক্ত অবস্থা তাঁর।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে রাজ্য বিজেপি কী করছে? গোটা বঙ্গ বিজেপি কি প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন? তবে কি বঙ্গ বিজেপির উপর আস্থা হারিয়েই এবার কেন্দ্রীয় বিজেপির উপর নির্ভর করে আছেন সাধারণ কর্মীরা? কিন্তু স্থানীয় স্তরে কোনও সমস্য়া মেটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিজেপি কীভাবে কাজ করবে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।
তবে অনেকের মতে, বঙ্গ বিজেপি এখন সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতারা, মুষড়ে পড়া নেতা কর্মীদের চাঙা করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, আর নালিশ জানাতেও ভরসা সেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখানেই প্রশ্ন এভাবে কেন্দ্রীয় নির্ভরশীলতা নিয়ে কি বঙ্গ বিজেপি সংসদ ভোটে সুবিধা করতে পারবে?