বাংলা বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিরোধীরাও এই একই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। এবার এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর মতে, ‘একটু বোমা গুলি না থাকলে তো... সরকার দেখছে।’ তবে সরকার যে আগ্নেয়াস্ত্র সরিয়ে ফেলতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে, সেকথাও জানাতে ভোলেননি কামারহাটির বিধায়ক।
সম্প্রতি কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে এসে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র জানান, ‘রথযাত্রা হয়ে গেল। দুর্গাপুজো আসছে। একটু বোমা, গুলি না থাকলে তো...সরকার দেখছে। অনেকদিন ধরেই জমে ছিল। সরকার দেখছে। ধরে ফেলছে। অনেক জায়গায় যেগুলি জমে ছিল, সেগুলি খুঁজে বের করা হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টার পরে আর কোনও বোমা পাওয়া যাবে না।’ তৃণমূল বিধায়কের কথা থেকেও স্পষ্ট, রাজ্যে অনেক আগে থেকেই বোমা, গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র মজুত ছিল। অর্থাৎ বিরোধীরা যে এতদিন থেকে রাজ্যে বোমা, গুলি মজুত রয়েছে বলে দাবি করে আসছে, সেই কথাই পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেন মদনবাবু। স্বভাবতই তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছিল ভাটপাড়ায়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। শুধু তাই নয়, বগটুইয়ে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন ও তার পরবর্তীক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে রাজ্য জুড়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা, গুলি উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে।