জেলের মধ্যেই আংটি পরে ঘুরছিলেন প্রাক্তন মহাসচিব। সম্প্রতি সেই আংটির বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু জেলের মধ্যে হাতে আংটি কেন? এটা তো নিয়মে নেই? নাকি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জন্য জেল কোডই বদলে যাচ্ছে? এনিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়।
এনিয়ে জেল সুপারের জবাব চান বিচারপতি। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে জেল সুপার জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল ফোলা ছিল। সেকারণে আংটি খুলতে গেলেই তিনি চিৎকার করছেন। আংটি খুলতে গিয়ে নাকি হাত ছড়েও গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, আদালতের মনোভাব বুঝতে পেরেই আংটি খুলতে তৎপর হয় জেল কর্তৃপক্ষ।
তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য় আংটি খোলা হয়। আদালতের প্রশ্ন, নয় মাসে যে আংটি খোলা যায়নি সেটা ৯ মিনিটের মধ্যে কীভাবে সম্ভব হল? এরপরই জেলা সুপারকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন বিচারক।
সুপার দাবি করেন আগেও আংটি খোলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু উনি ব্যাথায় চিৎকার করতেন। এদিকে এরপর জেল সুপারকে রীতিমতো ধমক দেয় আদালত। বিচারক জানিয়ে দেন, আপনি কি মনে করে সর্বশক্তিমান? আপনার থেকে জেল প্রশাসনের নয়, আপনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। দশ মিনিট সময় দিচ্ছি। আপনি আবার নিজের হাতে লিখে জমা দিন।
এদিকে এদিন জেল সুপারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ হাজির করেন ইডির আইনজীবী। তাঁর মতে জেল সুপারকে ২০১৮ সালে রাজ্য সেন্সর করেছিল…উনি কি আইনের উর্ধে? আইন বলছে এসব ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে রাজ্যের বাইরে বা অন্য় জেলে পাঠানো যায়।জেল কোড না মানার জন্য জেল সুপারকে জরিমানা ও তিন বছরের কারাদন্ড হতে পারে বলেও জানান আইনজীবী।
এদিকে বিচারক বলেন, আপনার ব্যাখা অনুসারে ধর্মীয় কারণে আংটি রাখার আইনি বৈধতার যুক্তি টিকছে না। আপনি সুপার হিসাবে কি আইনের নিজের মতো করে অর্থ করছেন? আপনি বলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্য় এজেন্সির হেফাজতে রয়েছে। তারা কি এটা খুলবে?
তবে বিচারকের ধমকের মুখে পড়ে এদিন প্রেসিডেন্সির জেল সুপার কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন।তবে শেষ পর্যন্ত তিনি জানিয়ে দেন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করব।