বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এবার তিনি রাজনৈতিক ময়দানে নামবেন। সরাসরিই জানিয়েছেন সেকথা। তার আগে সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর দেওয়ার পরে কোথায় যাবেন তিনি? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিয়েছেন, বাম দল আছে. কংগ্রেস, বিজেপি আছে, ছোট রাজনৈতিক দল আছে তারা যদি মনে করে টিকিট দেবেন, তখন আমি ভেবে দেখব টিকিট নেব কি নেব না। তবে তিনি যে রাজনীতির বৃহত্তর ময়দানে আসছেন সেটাও জানিয়ে দেন তিনি।
এদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বার বারই এই বিচারপতির বিরুদ্ধেই অতীতে মুখ খুলেছেন। কার্যত তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তবে সেসব আজ অতীত। আবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করতেও দেখা গিয়েছে বিচারপতি। এবার সেই বঞ্চিতদের ভগবান বলে পরিচিত বিচারপতিই আসতে চলেছেন রাজনীতির ময়দানে। এনিয়ে কী বলছেন কুণাল ঘোষ?
এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,এধরনের মানুষ রাজনীতিতে এলে ভালো। দুটি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। একটিতে তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে স্বাগত জানাচ্ছি। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা।
এদিকে একটি সংবাদমাধ্য়মে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, কুণাল ঘোষ একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ। আমার চেম্বারে বসে ওঁর সঙ্গে দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। রাজনীতির বিষয়ে নয়, অন্য় বিষয়ে। আমার মনে হয়েছে উনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। একেবারে খোলাখুলি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এর আগেও তিনি কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে সেভাবে কোনওদিন কটূ কথা বলেননি। এমনকী কুণাল ঘোষ অতীতে তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করলেও পালটা কটাক্ষ করেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
এদিকে কথায় আছে রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। আবার এটাও কথায় আছে সময়ই সব কথা বলে। যে কুণাল ঘোষ তৃণমূলের মুখপাত্রের চেয়ারে বসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করতেন সেই কুণাল ঘোষই তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ ছাড়তে চেয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। এমনকী সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে বলেও খবর। সব মিলিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে এখন প্রকাশ্য়েই মুখ খুলছেন কুণাল। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কুণাল ঘোষই একদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে বলেছিলেন, আপনি একবার মাঠে নেমে দেখুন। সেই মাঠেই নামছেন বিচারপতি। চাকরি ছেড়ে দিয়ে।